ঢাকা : বাংলাদেশ একটি ভাষাভিত্তিক দেশ। বাংলাদেশে বিপুল বিশাল অস্ট্রিক ডেভিড জনগোষ্ঠীর মধ্যে অল্প সংখ্যার ও ভিন্ন জাতের কিছু মানুষ বাস করে। বিপুল বৃহৎ বাংলাভাষীর সঙ্গে জনবিচ্ছিন্ন নিরন্তর যোগাযোগ ও মেলামেশার দরুন তারা বাংলা ভাষায় স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারে। তাদের নিজস্ব ভাষায় বইপুস্তক না থাকায় তারা বাংলায় শিক্ষাগ্রহণ করে। এভাবে তাদের অনেকে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে ডিগ্রি নিয়ে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত এবং উচ্চ আয়ের ব্যবসায়ে লিপ্ত হতে পেরেছে। ক্ষুদ্র এসব নৃ-গোষ্ঠীর বাংলায় কথা বলা মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি গঠিত।
ভাষাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র গঠিত হওয়ায় এর প্রতিষ্ঠাতারা সংবিধান প্রণয়নকালে সেক্যুলারিজমকে মূল আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। সেক্যুলারিজম অর্থ হলো ইহজাগতিকতা! রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে ধর্ম ভূমিকা পালন করবে না; প্রত্যেক নাগরিক তার বিশ্বাস ও আচার অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করবে। যার ধর্ম পালনে আগ্রহ নেই, তার ধর্ম পালন না করারও অধিকার থাকবে। পরে সেক্যুলারিজমের অর্থ ইহজাগতিকতার জায়গায় ধর্মনিরপেক্ষতা করায়।
অতীতে বাঙালি বিভক্ত ছিল উচ্চবর্ণে নিম্নবর্ণে। ধর্মের প্রভাবে হিন্দু ও বৌদ্ধে এবং শেষে হিন্দু ও মুসলমানে। সর্বশেষ বিভক্তির পর অবস্থার ইতরবিশেষ না ঘটলে ধর্মের বিভক্তির প্রভাব লোপ পেয়ে যেতে থাকে। এই লোপ পাওয়া ত্বরান্বিত হয় জীবনযাপনে পাশ্চাত্য প্রভাব এবং তাপ ও জৈব জ্বালানিভিত্তিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে সর্বজনীনতা পেতে থাকলে। যন্ত্র উৎপাদন ও সেটা ভোগের কাজে লাগতে শুরু করলে। অনেকটা বিস্তৃতভাবে সম্প্রতি এটা ঘটছে একজন ব্যক্তির নেতৃত্ব দেওয়ায়। এই মানুষটি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার ভিশন আছে যা আজ পর্যন্ত কোনো নেতার মধ্যে দেখা যায়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশ হবে।
বর্তমানে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছি। ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ রেকর্ড পরিমাণ ৪৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত যে, দেশ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। মানে উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা হাঁটছি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অর্জনই প্রকৃত অগ্রগতি। বাংলাদেশ এখন সেই অগ্রগতির পথে হাঁটছে। জাতির এই আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তির মূল নিয়ামক হিসেবে পেছন থেকে কাজ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোনালীনিউজ/এমটিআই