ফেডারেশন কাপ ফুটবল

ফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংস

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৮, ০৯:২১ পিএম
ছবি: বাফুফের সৌজন্যে

ঢাকা: মৌসুম সূচক ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ হিসাবে টিকেট কাটল বসুন্ধরা কিংস। মঙ্গবার (২০ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উত্তেজনাকর সেমিফাইনালে তারা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে জায়গা করে নিল নবাগত দলটি।

ম্যাচের মূল সময় (৯০ মিনিট) ছিল গোল শূণ্য ড্র। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের ২৭ মিনিটেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোন দল। অবশেষে ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে গোল করে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান তিনি। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন তৌহিদুল আলম সবুজ। অতিরিক্ত সময়ের শেষ বাঁশি বাজার দুই মিনিট আগে গোল করে প্রথমবারের মতো পেশাদার লিগ খেলতে আসা দলটিকে ফাইনালের টিকিট এনে দেন এই ফরোয়ার্ড।

এই জয়ের ফলে ফাইনালে আবাহনী লিমিটেডের মোকাবেলা করবে বসুন্ধরা। আগামি শুক্রবার বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে তারা।

এদিন ম্যাচের অস্টম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল বসুন্ধরা। কিন্তু দলকে গোল উপহার দিতে ব্যর্থ হন মাহবুবুর রহমান সুফিল। ছোট বক্সের সামনে থেকে আলতো টোকায় গোলরক্ষক আশরাফুল রানার মাথার উপর দিয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন এ ফরোয়ার্ড। কিন্তু রানার চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি। ফিরিয়ে দেন দারুনভাবে। ফিরতি বলে আবারো শট নেন মাসুক মিয়া জনি। সেই বলটি একেবারে গোল লাইন থেকে প্রতিহত করে বসুন্ধরার সমর্থকদের হতাশ করেন শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ওদুকা এলিসন।

ম্যাচে ১৫ মিনিট পর আবারো সুযোগ হাতছাড়া হয় বসুন্ধরা কিংসের। এবার বাঁ প্রান্তে ডি বক্সের ভেতর থেকে মিডফিল্ডার মো: ইব্রাহিমের নেয়া শট শেখ রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম ফিস্ট করে প্রতিহত করলে গোলবঞ্চিত হয় দলটি। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পরিকল্পিত একটি আক্রমন রচনা করেছিল শেখ রাসেল। কিন্তু ফরোয়ার্ড বিপলু আহমেদের নেয়া হেড বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আক্রমণাত্মক ছিল শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ডরা। পরপর কয়েকটি আক্রমণও করেছিল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। এ অর্ধে দুই দলের ফুটবলাররা বেশ কয়েকবার তর্ক যুদ্ধেও নেমেছির মাঠে। ফুটবলারদের তর্কের এই লড়াই দক্ষ হাতেই সামাল দেন রেফারি। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বসুন্ধরার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জর্জ গুতরের দূর পাল্লার জোড়ালো শট শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল রানা মিস করলেও ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে আবারো হতাশ হতে হয় তাদের। ফলে গোল শূণ্যভাবেই শেষ হয় মূল সময়ের খেলা।

এতেই অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য। এ পরীক্ষাতেও যেনো ভাগ্য সায় দিচ্ছিল না। শেখ রাসেলের জমাট রক্ষনে কিছুতেই ফাঁটল ধরাতে পারছিলেন না কলিন্ড্রেস-মতিন মিয়ারা। বারবার হতাশ হতে হচ্ছিল তাদের। কোচের কোন টোটকাও যেনো কাজে আসছিল না। অবশেষে সমাপনী বাঁশি বাজার মাত্র দুই মিনিট আগে শেখ রাসেলের জালে বল পাঠিয়ে মৌসুমের প্রথম আসরের ফাইনালে কিংসকে নিয়ে যান তৌহিদুল আলম সবুজ (১-০)। অধিনায়ক কলিন্ড্রেসের প্রথম প্রচেষ্টায় নেয়া শটটি পোষ্টে লেগে ফিরে আসলেও ফিরতি বল কাজে লাগাতে ভুল করেননি সবুজ। প্লেসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে জার্সী খুলে উন্মত্ত উৎসবে মেতে উঠেন তিনি। এই জয়ে প্রথমবারের মতো ফেডকাপের ফাইনালে নাম লেখাল বসুন্ধরা কিংস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই