ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে সবচেয়ে বেশি, প্রাণহানি হয়েছে চট্টগ্রামে। মারা গেছেন, অন্তত ১৪ জন। যা গেল এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এখানে বেশিরভাগ মানুষই মারা গেছেন, জলোচ্ছ্বাসে।
প্রশাসনের বহু চেষ্টার পরও; আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি তারা। প্রাথমিক হিসাব বলছে, রোয়ানুতে বন্দরনগরীর ক্ষয়ক্ষতি ছাড়িয়েছে, দুশ’ কোটি টাকা।
আগেভাগে প্রচার-প্রচারণা আর প্রশাসনের উদ্যোগের পরও চট্টগ্রামে রোধ করা যায়নি ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি। যা গেল একদশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
প্রাণহানির বেশিরভাগই হয়েছে বাঁশখালিতে, জলোচ্ছ্বাসে। যাদের অধিকাংশই বাড়িঘর ছেড়ে যেতে চায়নি আশ্রয়কেন্দ্রে। ফলে জোয়ারে ভেসে গিয়ে তারা প্রাণ হারান। এছাড়া বাকিদের প্রাণ গেছে নানা অসতর্কতার কারণে। অথচ, গেল বৃহস্পতিবার থেকেই উপকুলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব অনুসারে, মাঝারি মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি ছাড়িয়ে যাবে চট্টগ্রামে। তাতে শুধু প্রাণী সম্পদের ক্ষতিই হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। আর বেড়িবাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৫০ কিলোমিটার।
তবে, ক্ষয়ক্ষতির পুরোচিত্র পেতে আরও দিন কয়েক লাগবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মূলত এরপরই ঠিক করা হবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বা পুনর্বাসনের বিষয়টি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা