সাতক্ষীরা: জমির সীমানায় শৌচাগারের হাউজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাতিজার দায়ের কোপে নিহত হয়েছেন চাচা। সোমবার (১৬ মে) বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার গণেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় জনতা ঘাতক হাবিবুল্লাহকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহত সাইফুল ইসলাম (৩২) উপজেলার গণেশপুর গ্রামের আলাউদ্দিন গাজীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী বিলকিস বেগম জানান, তার ভাসুর আব্দুস সামাদ গাজী তার অংশ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে সেখানে বাড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। এরপরও তিনি তাদের (সাইফুল) সীমানার মধ্যে জমি আছে বলে দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে বিরোধও হয়েছে কয়েকবার।
সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে তার স্বামী নিজের সীমানার মধ্যে শৌচাগারের হাউজ বানাতে গেলে ভাসুর সামাদ গাজী এসে শাবল দিয়ে সাইফুলের মাথায় আঘাত করতে যান। তবে শাবল ধরে ফেলেন সাইফুল। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাসুরের ছেলে রতনপুর আইডিয়াল কলেজের স্নাতক পরীক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ ধারালো রাম দা দিয়ে সাইফুলের পেটে কোপ দেয়।
প্রতিবেশীরা মোটরসাইকেলে করে সাইফুলকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এদিকে ক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক হাবিবুল্লাহকে গণপিটুনি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, সাইফুলের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (১৭ মে) সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক হাবিবুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এসআই