ঢাকা: ছোট পর্দার নবাগত অভিনয়শিল্পী জেবা জান্নাতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। তবে এই নিষেধাজ্ঞা পেশাগত কারণে নয় বরং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে বলে মনে করছেন অভিনেত্রী।
জেবা বলেছেন, রাশেদা আক্তার লাজুক ভাবির স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল প্রেম করতে চেয়েছিলেন। প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই পেছনে লেগেছেন তারা।
[201411]
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পরিচালক দোদুল বলেছেন, জেবা হয়তো ভাইরাল হতে চাচ্ছেন।
অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে জেবা জান্নাতকে কোনো ধরণের কাজে অভিনয়ের জন্য নেবে না বলে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড সম্প্রতি বিবৃতিতে জানায়।
[201405]
এতে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে আনীত আমাদের সম্মানিত সদস্য রাশেদা আক্তার লাজুকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটি নিষ্পত্তিতে কোনোরূপ সহযোগিতা না করায় ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের সকল সদস্য অভিনয়শিল্পী হিসেবে আপনাকে টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমে সকল প্রকার নির্মাণ থেকে বিরত থাকবে। সিদ্ধান্তটি ২০ জুন ২০২৩ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
[201394]
এরপরই মুখে খোলেন জেবা। তিনি বলেন, বুঝতে পারছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। বছর খানেক আগে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের কয়েকটা কাজ করেছি। এরপরই ওনার ওয়াইফ লাজুক ভাবির একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন, তো আমি কাজটা করতে রাজি হই।
জেবা বলেন, একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল শেষের দিকে। কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এতে তারা আমাকে থ্রেট দেন। আমি পরে ওনাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিই।
অভিনেত্রী বলেন, ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির হাজবেন্ড আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি তাহলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। লাজুক ভাবির হাসব্যান্ড যে বাজে অফার দিয়েছিলেন তা আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। এরপর থেকেই আমার পেছনে লেগেছেন তারা।
তবে জেবার অভিযোগকে অস্বীকার করেন দোদুল। তিনি বলেন, তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে নিয়ে মিথ্যা নাটক সে সাজাচ্ছে। মিথ্যা ঘটনা সে তৈরি করছে। জেবা হয়তো ভাইরাল হতে চাচ্ছে। কিংবা তার নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব কমাতে এ ধরনের কাজ সে করছে।
সোনালীনিউজ/আইএ