আইসিটি মিনিস্টার পলকের বাইকে করে প্রথম অফিস করাটা আমার ভালো লেগেছে। এখন তিনি হেলমেট কেন পরে নাই এটা নিয়ে তর্ক হতেই পারে।
উনি কেন বাইকে করে গেছে সেটার উত্তরে যদি উনি বলে থাকেন যে ট্র্যাফিক সমস্যার কারণে এভাবে গেছেন তাহলে তার উত্তরটা আমার পছন্দ হবে না।
উনি যদি বলেন, আমি আইসিটি মিনিস্টার... পাঠাও এর মতো ডিজিটাল সেবা আজ দেশ কাঁপাচ্ছে... আর তাই এটা ট্রাই করতে আমি এভাবে গিয়েছি এবং এতে নিঃসন্দেহে আমার সময় বেঁচেছে।
জানি না উনি কি উত্তর দিয়েছেন বাট আমার আসলেই মন থেকে আইসিটি মিনিস্টারের বাইকে করে প্রথম অফিস করাটা ভালো লেগেছে এতে কথা উঠবেই।
আজকে উনি হেঁটে গেলেও কথা উঠত, জেব্রা ক্রসিং কেন ব্যবহার করেনি, ফুটপাথ রেখে রাস্তা দিয়ে কেন হেঁটেছেন... এসব লোক দেখানি হাঁটা আর কত?
আজকে তিনি গড়াগড়ি দিয়ে অফিসে গেলেও কথা উঠত, উনি ঢং করছেন। উনি লুকিয়ে সচিবালয়য়ের বাউন্ডারি টপকে গেলেও কথা উঠত, উনি চোরের মতো এসেছেন।
উনার একটাই উপায় ছিলো; তার নির্ধারিত গাড়ি করে আসা... তাহলে কোন কথা উঠত না।
কিন্তু বেচারা, গতানুগতিকের বাইরে কিছু করতে চেয়েছে, কিন্তু ওদিকে আমরা আবার সেটা মানতে নারাজ
আমি শিওর অন্য মন্ত্রীরা যারা ইতিমধ্যে ভাবছিলেন আউট অফ দ্যা বক্স কি করা যেতে পারে, তারা পলকের এই পদক্ষেপের সমালোচনা দেখে কিছুটা থমকে উঠেছে।
এভাবে তো হবে না।
তাদের আউট অফ দ্যা বক্স যেতে দিন... থামিয়ে দিবেন না।
আমি শিওর যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, তাতে কয়েকদিন পর হয়ত ঠিকই দেখতে পারতাম পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী বলছেন ‘আমি মিন্টু রোডে বাসা নিব না... পল্লীতেতে চলে যাব, আমাকে তো বুঝতে হবে পল্লীর কালচার... আমি শহরে থেকে কিভাবে পল্লী উন্নয়ন করব? বা, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী বলছেন, আজ থেকে ঢাকার বাইরের সব ট্রিপ আমি বাসে চড়ে করবো কথা দিলাম।
বা হয়ত, স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলছেন, আমি আজ থেকে আমিসহ আমার ফ্যামিলির কেউ দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাবে না... দেশকেই বিদেশ বানাবো... কথা দিলাম।
বা হয়ত উপরের সবগুলোই আকাশকুসুম ভাবনা। বাট ভাবনা থামিয়ে দিলে তো হবে না। তাদের উৎসাহ দিয়ে যেতে থাকি আমরা।
আর তাই আমার কাছে নিঃসন্দেহে জুনাইদ আহমেদ পলকের বাইকে চড়ে অফিস করাটা মনে হয়েছে প্রশংসার দাবী রাখে... শুধু নেক্সট টাইম হেলমেটটা থাকলেই হবে।
লেখাটি ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইমরান রাসেল’র ফেসবুক থেকে নেয়া।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন