ঢাকা : ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃতীয় রাতের মতো দেশটির বিভিন্ন শহরে লক্ষ করা গেছে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত চেষ্টা চালিয়ে যচ্ছেন। আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্তের বিচার করার।
ফ্রান্সের পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) মার্সেই, লিয়ন, পাউ, টুলুস ও লিল শহরেও সহিংসতা দেখা গেছে। ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গা থামাতে মোতায়েন করা হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যকে।
জানা যায়, প্যারিসের পশ্চিমে নান্তেরে এলাকায় নাহেল এম নামের ওই তরুণ গত মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামতে বলে। সে না থামলে পুলিশ খুব কাছে থেকে তাকে গুলি করে।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছে। এরপর একটি গুলির শব্দ শোনা যায় ও তারপর গাড়িটি থেমে যায়। বুকে গুলিবিদ্ধ নাহেলকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। গুলিবর্ষণকারী কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্যারিস ও অন্য আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হয়। গাড়ি ও বাসস্টপে আগুন দেওয়া হয়, কিছু রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়, আক্রান্ত হয় পুলিশ স্টেশনও। এ সময় দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
চলমান সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৭০ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ৪২১ জনের বেশি জনকে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এ ব্যাপারে একটি সংকটকালীন বৈঠক করেছেন ও সহিংসতাকে 'অগ্রহণযোগ্য' আখ্যা দিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই