চৈত্রের এই সময় দুপুরের কড়া রোদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলেই খোঁজেন ঠাণ্ডা কোনো পানীয়। আজকাল ঠাণ্ডা পানীয়ের নামে আমরা যে সকল জিনিস খাই তার বেশিরভাগই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এইসকল পানীয়তে থাকে মারাত্মক প্রিজারভেটিভ এবং কার্বনডাইঅক্সাইড।
এর চাইতে প্রাকৃতিক কিছুর ওপর ভরসা করাই কি উচিৎ নয়? কোনো ধরণের ক্ষতিকর কেমিক্যাল কিংবা কোনো প্রিজারভেটিভ ছাড়া পানীয় পান করা দেহের জন্য সব চাইতে ভালো এবং এজন্য লেবুর শরবতের চেয়ে ভালো আর কোনো কিছুই হতে পারে না।
চৈত্রের তীব্র রোদে এক গ্লাস লেবুর শরবত ছাড়া আর কোন কিছুই মনে হয় প্রাণে এতোটা প্রশান্তি এনে দিতে পারে না। শুধু তাই নয় “লেবুর শরবত” রয়েছে আমাদের দেহকে মারাত্মক কিছু রোগের হাত থেকে রক্ষা করার অসাধারণ ক্ষমতা। তবে লেবুর সরবতে যতোটা সম্ভব চিনি কম ব্যবহার করুন অথবা চিনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
লেবুর শরবত মেদ কমাতে সাহায্য করে। দেহের ফ্যাট দূর করতে সাহায্যকারী সকল খাবারের মধ্যে লেবু অন্যতম। দেহের মেদ ঝড়তে সাহায্য করে লেবু। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস লেবুর শরবত খেলে দেহের শিরা উপশিরায় জমে থাকা মেদ দূর হয়। তাই আমরা কার্ডিওভ্যাস্কুলার সমস্যা থেকে রক্ষা পাই। এবং আমাদের হৃদপিণ্ডও সুস্থ থাকে।
কম ক্যালরির লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। প্রতিদিন অন্তত ১ গ্লাস লেবুর শরবত খেলে দেহে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। এতে করে ভিটামিন সি এর অভাবজনিত রোগ থেকে আমরা মুক্ত থাকবো।
লেবুর শরবত ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এটি প্রায় ১২ ধরনের ক্যান্সার সারায়। যার মধ্যে রয়েছে কোলন, ব্রেস্ট, প্রোটেস্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার।
লেবু অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ সম্পন্ন যা ক্যান্সার চিকিৎসায় ক্যামোথেরাপীর সময় ব্যবহৃত ঔধষ ‘এডরিয়ামাইসিন’ এর থেকেও প্রায় ১০ হাজার গুন বেশি শক্তিশালী।তাই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিদিন ১ গ্লাস লেবুর শরবত খান।
সম্প্রতি এক গবেষণা হতে জানা গেছে কমলা, লেবু ও টক জাতীয় ফলের রস কিডনিতে পাথর জমতে বাধা দেয়। তাই প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস লেবুর শরবত পান করুন। এতে কিডনি পরিষ্কার থাকবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন