ঢাকা: শাখা-প্রশাখা মিলিয়ে দেশের ২০টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান তিনটি পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ফুঁসে উঠেছে। দ্বিতীয়বারের মতো বন্যা দেখা দিয়েছে দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। শুধু পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রই নয়, এর শাখা নদ-নদীগুলোর পানিও উপচে পড়েছে আশপাশের এলাকাগুলোতে।
এতে নিম্নাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। অনেক দিন আগে নির্মিত বাঁধগুলো ভেঙে পড়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে বন্যা না হওয়ায় এই বাঁধগুলোর ব্যাপারে কোন তদারকি করা হয়নি। পুরনো বাধেঁ হঠাৎ করে পানির জমলে তা ভেঙে যায়। ফলে ডুবে যায়, আশপাশের এলাকা।
অপরদিকে সোমবার(১৪ আগস্ট) বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাস দিয়েছে আগামী তিন দিন এসব নদীর পানি আরও বাড়বে। সকাল নয়টায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের ২০টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নেত্রকোনায় জারিয়াজঞ্জাইলে কংস নদের পানি বিপৎসীমার সবচেয়ে বেশি ১৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলোতেও বন্যা চলছে। মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামে চলছে জলাবদ্ধতা। সেই পানি এখন বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। উজন থেকে আসা পানির সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির পানি। এই বিশাল পানির রাশি ধরে রাখতে পারছে না নদী। উপচে পড়ছে এলাকায়।
বড় নদ-নদীগুলোর মধ্যে সিরাজগঞ্জে বাহাদুরাবাদে যমুনার পানি ১১৮ সেন্টিমিটার, কাজীপুরে ১০০ সেন্টিমিটার, কুড়িগ্রামে চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র ১১৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়ালন্দে পদ্মার পানি বয়ে যাচ্ছে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। এ ছাড়া কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি ১৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সিলেটে কানাইঘাটে সুরমা নদীর ছিল বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপরে। আর অমলশীদে কুশিয়ারার পানি ছিল বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপরে। এই দুটি নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা