ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) হিসেবে পরিচিত বেআইনি আন্তর্জাতিক কল স্থানান্তরকে শূন্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ‘স্থান চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা (লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম)’ চালু করতে যাচ্ছে টেলিকম নিয়ন্ত্রনকারি কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি)।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন কাজে সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এই উদ্যোগ নিয়েছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধনের ফলে অবৈধ ‘ভিওআইপি’র প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন ও অন্যান্য পদক্ষেপের ফলে ৫০ মিলিয়ন কল হ্রাস পেয়েছে, সবগুলো নির্দেশকই এটা প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি বলেন, যখন আমরা বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ চালু করি সেসময় বেআইনি আন্তর্জাতিক কল টারমিনেশনের হার ছিল ৩৫ শতাংশ। কিন্তু জুন মাসের পর, প্রচারণা শেষে এটা ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেআইনি কল টারমিনেশন একটি ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে রেগুলেটর কোম্পানিগুলোকে বেআইনি ‘কল টার্মিনেশন’ নির্মূল করার জন্য ‘লোকেশন ট্র্যাকার’ চালু করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিটিআরসি’র কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে’। এছাড়াও বেআইনি ‘ভিওআইপি’র বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম