পাকিস্তান অধিনায়ককে পাঠশালায় পাঠাবে আইসিসি, কিন্তু কেন?

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০১৯, ০৫:৩১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সরফরাজ আহমেদকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।  বর্ণবিদ্বেষবিরোধী নিয়মাবলী লঙ্ঘন করায় তাঁকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি । নিষিদ্ধ হওয়ায় চলমান ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না সরফরাজ।

আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইসিসির বর্ণবিদ্বেষবিরোধী আইনের ৭.৩ নং ধারা অনুযায়ী, সরফরাজকে একটি শিক্ষামূলক পাঠক্রমে অংশ নিতে হবে। যাতে বর্ণবিদ্বেষ সম্পর্কে তাঁর সচেতনতা বাড়ে। আইসিসি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে কবে, কোথায় ওই পাঠক্রমের আয়োজন করা হবে।

কিন্তু, ঠিক কী বলেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক, যার জেরে এত বড় শাস্তি পেতে হলো তাঁকে? দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালীন আন্দিলে ফেলুকাওকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে বসেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া টপ অর্ডারের বিপর্যয়ের রেশ কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরান ফেলুকাও।

৩৭তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ফেলুকাও সিঙ্গল নেওয়ার সময় তাঁকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে বসেন সরফরাজ। স্টাম্প মাইক্রোফোনে যা পুঙ্খানুপুঙ্খ ধরা পড়ে। ফেলুকাওর উদ্দেশে সরফরাজ বলতে থাকেন, ‘‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌শোন ফেলুকাও তোর গায়ের রং কালো। তোর মা গ্যালারির কোথায় বসেছে? তোকে কী এমন পরিয়ে পাঠিয়েছে যে এ রকম খেলছিস?’

সরফরাজের এই মন্তব্যের পর ক্রিকেটবিশ্বে ঝড় ওঠে। সরফরাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সাবেক পাকিস্তান তারকা শোয়েব আখতার জানিয়ে দেন ফেলুকাওর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত পাকিস্তান অধিনায়কের। তারপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে আইসিসি। তদন্ত শেষে কঠিন শাস্তির কথা জানিয়ে দিল আইসিসি।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই