• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারি চাকরিজীবীদের কয়েক ধরনের ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৯, ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম
সরকারি চাকরিজীবীদের কয়েক ধরনের ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ

ঢাকা: সরকারি চাকরিজীবীর চিকিৎসা ভাতা, ১১-২০ গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের টিফিনভাতা এবং সন্তানদের জন্য প্রদেয় শিক্ষা সহায়ক ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

গত ২৪-২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে নরসিংদী ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব আমলে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রস্তাব পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, সম্মেলনের প্রথম দিবসের দ্বিতীয় কার্য অধিবেশনে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান সরকারি চাকুরিজীবীর সন্তানের জন্য প্রদেয় শিক্ষা সহায়ক ভাতা যুগোপযোগী করা, সরকারি চাকুরিজীবীর চিকিৎসাভাতা বৃদ্ধি করা এবং সরকারি দাবী আদায় আইন ১৯১৩ যুগোপযোগীকরণ ও ম্যানুয়াল প্রস্তুত করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ১১ গ্রেড হতে ২০ গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের টিফিন ভাতা মাসে দুইশত টাকার পরিবর্তে সময়োপযোগী হারে নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক জেলা পর্যায়ে রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম মনিটরিং এর প্রয়োজনীয় উদ্যেগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। 

দুর্যোগ/ক্রান্তিকালীন সরকারের প্রণোদনা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আইএমইডির অধীনে একটি অধিদপ্তরসহ বিভাগীয় পর্যায়ে অফিস স্থাপনের উদ্যেগ নেওয়ার প্রস্তাব করেন।

এই অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার রুপকল্প ২০২১ এর সার্থক বাস্তবায়ন শেষে রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন শেষে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্যের অবসান ও উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে উত্তরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্রের অবলুপ্তসহ উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদায় আসীন হওয়ার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এসব রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ।

তিনি জেলা প্রশাসকদের উদ্যেশ্যে বলেন, জেলাপ্রশাসকগণ সন্মুখসারিতে থেকে সরকারের সকল নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এডিপির আওতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক মোট ১৪৪১ টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

এসব উন্নয়ন প্রকল্পের সময়ানুগ ও কার্যকর বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। মাঠ পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জেলা প্রশাসকগণ বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ে নেতৃত্ব প্রদান করলে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। 

আইএমইডি উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের মনিটরিং করলেও পর্যাপ্ত জনবল সক্ষমতা না থাকায় নিয়মিতভাবে প্রতিটি প্রকল্প মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি এলাকায় গিয়ে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছেনা। এক্ষেত্রে জেলাপ্রশাসকগণ নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করলে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন গতি আরও বৃদ্ধি পাবে।

অধিবেশনে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রমে মনিটরিংয়ের উদ্যোগ, দুর্যোগ/ক্রান্তিকালীন সরকারের প্রণোদনা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ, আইএমইডির অধীনে একটি অধিদপ্তরসহ বিভাগীয় পর্যায়ে অফিস স্থাপনের উদ্যেগ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণের সাথে সাথে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!