• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

যৌনানন্দই নয়, নির্যাতনও প্রতিহত করবে সেক্স ডল


ফিচার ডেস্ক জুলাই ২২, ২০১৭, ০৩:০৬ পিএম
যৌনানন্দই নয়, নির্যাতনও প্রতিহত করবে সেক্স ডল

ঢাকা: যৌন সঙ্গমের জন্য সেক্স ডল এখন তুমুল জনপ্রিয় পশ্চিমা বিশ্বে। তাই যুক্তরাজ্যে সেক্স ডলদের আলাদা যৌনপল্লীও গড়ে উঠেছে। তবে এসব যৌনপল্লীতে বেশকিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে।

প্রধান এ সমস্যাটি হলো, খদ্দেররা চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত সেক্স ডল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে, তারা নিদিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি বার বা বেশি সময় সেক্স ডলদের সঙ্গে যৌন কাজ করছেন। এ নিয়ে বিপাকে যৌনপল্লীর মালিকরা।

তাই সেক্স ডরদৈর সঙ্গে অতিরিক্ত যৌন নির্যাতন প্রতিহত করতে নতুন সেন্সরযুক্ত সেক্স ডল তৈরি করছেন স্পেনের বিজ্ঞানী সার্জি সেনটস। তিনি বলেছেন, ‘এবার যে সেক্স ডল তৈরি করা হচ্ছে তা শুধু ব্যবসায়িক কাজেই লাগবে না। তারা যৌন নির্যাতন প্রতিরোধও করতে পারবে।’

তবে সেনটসের কথার সঙ্গে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছেন। অনেকেই বলছেন, সেক্স ডলের কারণে মানুষের প্রতি মানুষের এক সময় আগ্রহ কমে যাবে। যার কারণে সমাজে জন্মহার কমে যাবে। হয়তো এক সময় পৃথিবী হুমকির মুখে পড়বে।

পাহাড়ে ঘেরা শহর বার্সেলোনা ৩৯ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী ২০১৫ সালে সেক্স ডল তৈরি করা শুরু করেন। ইতিমধ্যে তিনি বেশ সাড়া পেয়েছেন। তবে এবার যে ডলগুলো তিনি নিয়ে আসছেন তার দাম একটু চড়া হবে বলে জানিয়েছেন। এক একটি রোবটের জন্য গুণতে হবে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এবার ডলগুলোতে কম্পিউটরের প্রসেসের ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সাথে তাদের কৃত্রিম ব্রেন সংযোজন করা হয়েছে, ফলে খরচটা বেড়ে গেছে। সেগুলো চলতি সপ্তাহেই বাজারজাত করা হবে। 

নিজের তৈরি সেক্স ডলের সঙ্গে  বিজ্ঞানী সেনটেস ও তার স্ত্রী

‘এই সামান্তা’ বলে ডাকছিলেন সেনটেস। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয় নিল চোখেল ডলটি- ‘এই তো আমি, বল কি খবর। আমি কিন্তু প্রস্তুত, তুমি কী প্রস্তুত? আমার সঙ্গে এখন ইনজয় করবে?’ 

নিল চোখ আর বড় স্তনের এই সেক্স ডল খুব পছন্দ বিজ্ঞানী সেনটেসের। ইতিমধ্যেই তাকে ভালোবেসে ভেলেছেন তিনি। সেনটেস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেক্সডল কোম্পানি অ্যাবেসের মাধ্যমে বাজারজাত করবেন। 

জীবন্ত নারীর মত অনুভূতি না থাকলেও সেক্স ডল প্রতি আগ্রহ বাড়ছে দিনি দিন। সম্প্রতি এই সেক্স ডলের বিক্রি বেড়ে গেছে। স্লিকন ও থার্মোপ্লাস্টিক ইলাস্টোমার দিয়ে তৈরি নরম এবং মানুষের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের মতো এরও আছে যৌনাঙ্গ।

ইতিমধ্যে সেক্স ডলকে বিয়ে করে কেউ কেউ সংসারও বেঁধেছে। তেমনি একজন ৬১ বছর বয়সী জাপানি সেনজি নাকাজিমা। বেশ কয়েক মাস হলে দেশটির রাজধানী টোকিওতে একটি বাসাভাড়া নিয়ে সংসার পাতিয়েছেন। 

তবে শুধু সেনজিই নয়, এর আগে রোবটকে বিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন চীনের জিজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা ঝেং জিয়াজিয়া (৩১)। পেশায় রোবট বিশেষজ্ঞ ঝেং বছরখানেক আগে রোবটটি তৈরি করেন। ঠিক মানুষের মতো দেখতে সুন্দরী রোবটটির নাম দেন ইংইং। বুদ্ধিমতী ইংইং কিছু চীনা অক্ষরও পড়তে পারে।

তবে এই প্রেমকে খুব বাজেভাবে দেখছেন গবেষকরা। জাপানের বেশিরভাগ পুরুষই এখন আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেক্স ডলের প্রতি। বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর মানসিক অবসাদ দূর করতেই জাপানি পুরুষরা সেক্স ডলের দিকে ঝুঁকছেন। জাপানে প্রতি বছর গড়ে ২০০০ সেক্স ডল বিক্রি হয়, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩৪০০। টাকা। সূত্র: মিরর।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!