• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

২০ দলীয় জোট থেকে লেবার পার্টি ‘আউট’!


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৭, ২০১৭, ০৭:১১ পিএম
২০ দলীয় জোট থেকে লেবার পার্টি ‘আউট’!

ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বাংলাদেশ লেবার পার্টিকে বের করে দেয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে পাল্টা-পাল্টি বহিষ্কারের ঘটনায় বুধবার জোটের বৈঠকে কোনো পক্ষই আমন্ত্রণ পায়নি। 

বুধবার রাত ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে জোটের বৈঠক শুরু হয়। রাত ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। এতে জোটের অন্যান্য নেতারা থাকলেও ছিলেন না লেবার পার্টির কোনো নেতা। অবশ্য বিএনপির মধ্যস্থতায় সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে বলে দুপক্ষই দাবি করেছে।

প্রায় এক দশকের বিএনপির মিত্র বলে পরিচিত লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের পরিবর্তে তার দলেরই ‘বিদ্রোহী’ মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদীর নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টিকে মূল দল হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে জোটে জায়গা দেয়া হচ্ছে। ২০ দলীয় জোটের বুধবার রাতের সভায় লেবার পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। লেবার পার্টি দুই অংশই বিষয়টি স্বীকার করে বিএনপির আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছে।

জানা গেছে, ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চলমান অভ্যন্তরীণ সংকটের সূত্র ধরে বিএনপি এবার জোটের সভায় দলটিকে আমন্ত্রণ দেয়নি। আমন্ত্রণ দেয়ার বিষয়েও বিএনপি দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে।

গত ৫ নভেম্বর লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান তার মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদীকে সরিয়ে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. ফরিদ উদ্দিনকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত করার পরপরই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ নেতা বিদ্রোহ করেন। তারা হামিদুল্লাহ আল মেহেদীর নেতৃত্বে ডা. ইরানকে দলের চেয়ারম্যানসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান মনোনীত করেন। এর মধ্যে দুপক্ষই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

যোগাযোগ করলে লেবার পার্টির একাংশের নেতা হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, আউট কিনা জানি না। আমরা তাদের (বিএনপির) সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে, আপাতত কাউকে তারা ডাকবে না। তারা এও বলেছেন, একটু সময় নিবেন-তারা কিছু খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, আমি ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। তবে কেনো জোটের সভায় ডাকা হলো না বুঝতে পারছি না। তিনি বলেন, মেহেদীর বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের নথিপত্র তিনি বিএনপি কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। 

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!