• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কেন যৌনপল্লীতে আসে তরুণীরা? (ভিডিও)


হৃদয় ইসলাম ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭, ০২:২৫ পিএম
কেন যৌনপল্লীতে আসে তরুণীরা? (ভিডিও)

ঢাকা: বিশ্বে প্রাচীন পেশাগুলোর মধ্যে একটি হলো পতিতাবৃত্তি। ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এই কাজে জড়িয়ে পড়েন নারীরা। ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাগৈতিহাসিক যুগের নারীদের অশুভ মনে করা হতো, সেজন্য সমাজে তাদের কোনো মূল্য ছিল না। দরীদ্র পরিবারের মেয়েদের কেউ বিয়ে করতো না। ফলে বাধ্য হয়েই তারা যৌনকর্মে জড়িয়ে পড়তো। 

সময়ের বিবর্তনে নারীরা আজ সমঅধিকার পেয়েছে। তবে, সেই অভিশপ্ত যৌনকর্ম বা পতিতাবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বা আনা হয়নি। আজও সমাজের কর্তা ব্যক্তিদের ইচ্ছানুযায়ী তাদের বাধ্য কারা হচ্ছে ঘৃর্ণিত এই কর্মে।

নিশীকন্যা তিথী

দেশ ও দেশের বাইরে অনুমোদিত বা অনুমোদনহীন যে কোনো যৌনপল্লীতে খোঁজ নিলেই দেখা যায় অসংখ্য যৌনকর্মী যারা ফাঁদে পড়ে এই কর্মে এসেছেন। তেমনি একজন ভুক্তোভোগী কিশোরী তিথী, যাকে ঢাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে এক প্রতিবেশি। পরে এই যৌনপল্লিতে তাকে বিক্রি করে দেয়। 

তার ভাষায়, ‘পাড়াপড়শি তো তাই তার কথায় আসি। শুনছি এহেনে আনার পর খালার (সর্দারনী) কাছে ৩০ হাজার টাকায় বেচে দিয়েছে। যতদিন ওই টাকা শোধা না হবি ততদিন এহেনে থাকতে হবি। প্রথম দিকে খুবই কষ্ট হতো, মনে হতো আত্মহত্যা করি। এখন অবশ্য সহ্য হচ্ছে।’ এভাবেই তিথী তার স্বাভাবিক জীবন থেকে যৌনকর্মী হয়ে উঠার গল্প শোনালেন।

গত ২১ ডিসেম্বর এই যৌনপল্লী র‌্যাবের এক অভিযান চালিয়ে তিথীর মত তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজনকে তার অভিভাবকের কাছে এবং দুজনকে ফরিদপুর নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে সর্দারনীর বাড়িতে র‌্যাবের অভিযান পরিচালনা করলে সর্দারনী ফারজানা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় ওই ৩ তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত ৩ তরুণী ঢাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি করাকালীন অজ্ঞাতনামা কতিপয় প্রতারক চক্রের সদস্য উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৪ বছর আগে সবাইকে রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে জনৈক ফারজানা নামক এক সর্দারনীর নিকট বিক্রি করে দেয়।

পরবর্তীতে তারা যৌনপল্লী থেকে যেতে চাইলে তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়।

এই আগেও অনেকবারই এমন অভিযান চালিয়ে সরকারী বিভিন্ন বাহিনী, কিন্তু তাতেও থামিনি তরুণীদের পাচারের এমন কাজ। এসবের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের হাত রয়েছে বলে জানা যায়।

নিশিকন্যা তিথী জানায়, ‘খালাদের সঙ্গে উপর মহলের যোগাযোগ ভালো। তাছাড়া পুলিশেরও তাই চাইলেও কিছু করা যায় না। বাধ্য হয়েই থাকতে হয়।’

‘এই ফাঁদ কী কখনো বন্ধ হবে না?’ সরকারের কাছে এমনটাই প্রশ্ন রাখে তিথী।

ভিডিও:

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!