• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত দুই কারাগার 


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮, ০৬:১৮ পিএম
ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত দুই কারাগার 

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে একটির রায় হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি(বৃহস্পতিবার)। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে। সাজা হলে তাকে কোন কারাগারে রাখা হবে তা নির্ধারণ না হলেও দুটি কারাগার কর্তৃপক্ষ আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত জানা গিয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কারা কর্মকর্তা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া কারাগারে সর্বোচ্চ (ডিভিশন) সুবিধা পাবেন। এসব মাথায় রেখেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে বিষয়গুলো নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।

কারাগারের আরেক কর্মকর্তা বলেন, সাজা হলে খালেদা জিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় নারী কারাগারে (কাশিমপুর-৩) রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। ওই কারাগারেই ভিআইপি নারী বন্দী রাখার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থাও বেশ ভালো। তবে সেখান থেকে ঢাকার আদালতে আনা-নেওয়ার পথ ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।

অপরদিকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলের দোতলার ঘরগুলোতেও ধোয়ামোছার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে চারটি বড় ঘর রয়েছে। এখানে আগে নারী বন্দীদের শিশুসন্তানেরা খেলাধুলা করত। এখন সেখানে সংস্কার চলছে।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার লোকজন নাজিমুদ্দিন রোডে কারা কর্তৃপক্ষের ওই প্রস্তুতি দেখে গেছেন। ভেতরে পুলিশ রয়েছে। খালেদা জিয়াকে এই কারাগারে রাখা হলে তার তত্ত্বাবধানে দুজন ডেপুটি জেলার থাকবেন। একজন নারী ডেপুটি জেলার কারাগারের ভেতরে আরেক পুরুষ ডেপুটি জেলার বাইরে থাকবেন। সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসকও থাকবেন। ওই কারাগারের ভেতরে দায়িত্ব পালনের জন্য কয়েকজন দক্ষ ও পুরোনো কারারক্ষীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে বাছাই করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পুরান ঢাকার বকশীবাজার নাজিমুদ্দিন সড়ক ঘিরে ৮ ফেব্রুয়ারি থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা। তবে কারাগারের কর্মকর্তাদের মতো পুলিশের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন বকশীবাজারের বিশেষ কারাগারের আশপাশে বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। এমনিতেই আদালত প্রাঙ্গণে কোনো নেতা-কর্মীকে ঢুকতে দেয়া হয় না। আর ওই দিন বকশীবাজার, পুরান ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট এলাকার আশপাশে কোনো নেতা-কর্মীকে দাঁড়াতে দেয়া হবে না। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে রায়ের ওপর।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!