• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতকে খেল দেখাল আফগানিস্তান


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮, ১২:২৯ পিএম
ভারতকে খেল দেখাল আফগানিস্তান

ঢাকা: শেষ ওভারে ভারতের জিততে চাই ৬ বলে ৭ রান। হাতে আছে ১ উইকেট। আফগানিস্তান ১টা উইকেট নিতে পারলেই জয় তুলে নেবে। ক্রিজে তখন খলিল আহমেদ ও রবিন্দ্র জাদেজা। প্রথম বলে রানের সুযোগ থাকলেও নেননি জাদেজা। দ্বিতীয় বলে রশিদ খানকে উড়িয়ে মারলেন। চার। পরের বলেই ১ রান নিয়ে জায়গা বদল করলেন জাদেজা। স্ট্রাইকে খলিল আহমেদ। ভারতীয়দের হাটব্রিট তখন বেড়ে গেছে।

কোনওমতে ১ রান নিলেন খলিল। ম্যাচ টাই হয়ে গেল। ভারতীয়রাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। জাদেজা মনে করলেন জয়ের জন্য আর দেরি করা ঠিক হবে না। রশিদ খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন মিড উইকেটে নাজিবুল্লাহর হাতে।

জয় না পেয়েও জয়ের উল্লাসে মাতল আফগানিস্তান। এটাই যে তাদের কাছে জয়ের সমান। ভারতের কাছে এটা পরাজয়ের মতোই। সত্যি, এবারের এশিয়া কাপে দুর্দান্তভাবে নিজেদের চেনাল আফগানিস্তান। সুপার ফোরের আগের দুই ম্যাচেও পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে সহজে ছাড়েনি তারা। খুবই কষ্ট করে আফগানদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আফগানিস্তানের উত্থান তাই ক্রিকেটের সৌন্দর্যই বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভারত এ ম্যাচে বেশ কয়েকজনকে বিশ্রামে রেখেছিল। ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওপেনার শিখর ধাওয়ানও ছিলেন না। নেতৃত্বের ভার পড়ে ধোনির ওপর। অধিনায়ক হিসেবে এটি তাঁর ২০০ তম ম্যাচ ছিল। আফগানদের ২৫২ রানের জবাবে রাহুল ও রায়ডুর ওপেনিং জুটিতে ১১০ রান ভারতের। কিন্তু দুজনই ফিফটি করে আউট হওয়ার পর কার্তিক (৪৪) ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ২০৪ থেকে ২০৫—১ রানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট হারায় ভারত, দুই রানআউটের ‘সৌজন্যে’ ২৪৫ রানে হারায় নবম উইকেটও।

আফগানিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। সতীর্থরা যেখানে যাওয়া-আসা করেছেন সেখানে তিনি একাই একশ করে দেখালেন। আফগানিস্তানের স্কোর যখন ৫২, শেহজাদের রানই ৪৫!  ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি পাওয়া শাহজাদ পঞ্চমবারের তিন অঙ্ক ছুঁলেন, সেটি প্রিয় খেলোয়াড় ধোনিকে সামনে রেখে!

মজার ব্যাপার, শাহজাদ যখন সেঞ্চুরি করেছেন, আফগানিস্তানের রান তখন ৪ উইকেটে ১৩১। আর এতেই রেকর্ড বইয়ে নাম উঠে গেছে তাঁর। ২০০৫ সালে কানপুরে ভারতের বিপক্ষেই শহীদ আফ্রিদি যখন সেঞ্চুরি করেন তখন পাকিস্তানের স্কোর ছিল ১৩১। দলীয় স্কোরের ৭৬ শতাংশ রানই তাঁর। ১৩ বছর পর আফ্রিদির রেকর্ড ছুঁলেন শেহজাদ।

কুলদীপ যাদবের বলে লং অফে দিনেশ কার্তিকের ক্যাচ হওয়ার আগে শাহজাদের রান ১১৬ বলে ১২৪। তাঁর সঙ্গে মোহাম্মদ নবীর ৫৬ বলে ৬৪ রানের সৌজন্যে আফগানরা তোলে ২৫২। সত্যি, এই টুর্নামেন্টে দ্রুতই বড় দল হয়ে ওঠার পূর্বাভাস দিয়ে গেল আফগানিস্তান। তাদের সঙ্গে মাঠে নামতে হলে অঙ্ক কষে তারপর নামতে হবে!


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!