• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেই চমক

কম্বোডিয়ার মাঠেই জিতল বাংলাদেশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ৯, ২০১৯, ০৭:৫৬ পিএম
কম্বোডিয়ার মাঠেই জিতল বাংলাদেশ

ছবি: বাফুফে

ঢাকা: ফুটবল হলো বাংলাদেশের আপামর মানুষের প্রাণের খেলা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশের ফুটবল প্রেমীদের মন ভরাতে পারছে না লাল সবুজ জার্সিধারীরা। মেয়েরা একের পর এক সাফল্য বয়ে আনলেও বারবার হতাশ করছিল ছেলেরা। এমন অবস্থায় কম্বোডিয়া থেকে এল সুখবর। নমপেনের জাতীয় অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক কম্বোডিয়াকে হারিয়ে খুশির খবর দিয়েছে রবিউল, জীবন, জামাল ভূইয়ারা।   

দীর্ঘ পাঁচ মাস পর শনিবার (৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ দল। এদিন কম্বোডিয়াকে হারিয়ে ১-০ গোলে হারিয়েছে জেমি ডে’র শিষ্যরা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ ম্যাচের ৮৩ মিনিটে বাংলাদেশ শিবিরে খুশির বন্যা বয়ে দেন বদলি খেলোয়াড় রবিউল হাসান।

তবে স্বাগতিকদের হারাতে অনেক কাঠ খর পোড়াতে হয়েছে জামাল ভূইয়াদের। ভিন্ন কন্ডিশনে উত্তপ্ত আবহাওয়া মোকাবেলা করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। তাছাড়া ফিফা র‌্যাংকিংয়েও এগিয়ে ছিল কম্বোডিয়া। তাদের অবস্থান ১৭২ নম্বরে, আর বাংলাদেশ রয়েছে ১৯২-তে।

শেষ পর্যন্ত ফিফা র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা, প্রচন্ড গরম কিম্বা স্বাগতিক দর্শকদের চিৎকার-চেচামেচি কোনও কিছুই বাঁধা হতে পারল না জেমি ডে’র শিষ্যদের সামনে। এই জয়ে প্রায় পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রত্যাবর্তনটা দারুন হলো বাংলাদেশের। গত বছরের ১০ অক্টোবর কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ।

এদিন বিরুপ কন্ডিশনে নিজেদের গুছিয়ে নিতে মিনিট দশেক সময় নেয় বাংলাদেশ দল। এরমধ্যে অবশ্য গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার দক্ষতায় বেচে যায় জামাল ভূইয়ারা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে পোস্ট ছেড়ে খানিকটা বেরিয়ে এসে কম্বোডিয়ার আক্রমণ রুখে দেন দেশ সেরা এই গোলরক্ষক।

এরপর দুই দুইটি সুযোগ পায় বাংলাদেশ দল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি বিপলু আহমেদ এবং নাবীব নেওয়াজ জীবন। ম্যাচের ১২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার কিক থেকে বল পান বিপলু। তার নেওয়া শট কম্বোডিয়ার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লাগার পর পোস্টে আঘাত হেনে বাইরে চলে যায়। দুর্ভাগ্যের কারণে এগিয়ে যেতে না পারা বাংলাশেকে তিনি মিনিট পরই হতাশায় ডোবান স্বাগতিক দলের গোলরক্ষক। সতীর্থের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পাস খেলে বক্সে ঢুকে পড়া জীবন যে শট নেন তা কম্বোডিয়ার গোলরক্ষক কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন।

একের পর এক গোল মিস করার কারণে বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন আনেন কোচ জেমি ডে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় মিডফিল্ডার বিপলুকে উঠিয়ে রবিউলকে মাঠে নামান কোচ জেমি ডে। আর ৭৬ মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবনের বদলে মাঠে নামানো হয় মাহবুবুর রহমান সুফিলকে। দুই বদলিতেই ভাগ্য ফেরে বাংলাদেশের। এ দু’জনের বোঝাপড়াতেই ৮৩ মিনিটে গোল পেলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কম্বোডিয়া এবং একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। কিন্তু জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।  

এর আগে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে তিনবার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ দল। ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে কম্বোডিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে ভারতের নেহেরু কাপে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে বাংলাদেশ। এরপর ২০০৯ সালে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ১-০ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ দল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!