ময়মনসিংহে শতভাগ স্বচ্ছতায় ২৫৭ জনকে পুলিশে চাকরি

  • ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ০৯:৪৮ এএম

ময়মনসিংহ : বাংলাদেশ পুলিশে ট্র্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ময়মনসিংহে শতভাগ স্বচ্ছতায় ২৫৭ জন নারী ও পুরুষকে পুলিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে। শারীরিক মাপ, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চুড়ান্ত পরীক্ষায় ২৫৭ জনকে নির্বাচিত করেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।

সোমবার (৮ জুলাই) রাতে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্স হলরুমে প্রেসব্রিফিং করে ২০১৯ এর চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন।

পুলিশ সুপার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধকারী বাংলাদেশ পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী জনবান্ধব পুলিশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের যে মহান ব্রত নিয়েছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী যে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন, সেই অঙ্গিকার পুরণে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ প্রয়োজনীয় সকল ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ জেলায় পুলিশ কঠোর নিয়ামানুবর্তীতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে মেধাবী-যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আবারো প্রমাণ করেছে, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে বদ্ধপরিকর ও বাংলাদেশ পুলিশ রক্তের ঋণ শোধ করতে দেশ প্রেমের মহান ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্যে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করতে শারিরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে কোন প্রকার অনিয়ম, স্বেচ্চারিতা এবং অপশক্তির প্রয়োগ হয়নি। যারা চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা প্রকৃতভাবে মেধাবী ও যোগ্য।

নিয়োগ পাওয়াদের একাংশ

এ সময় তিনি চুড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, মেধাবী ও যোগ্যতা ভিত্তিতে আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন। চুড়ান্তভাবে নির্বাচিতরা যদি কারো সাথে কোন আর্থিক লেনদেন করে থাকেন এবং ঐ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে মনে করেন, তাহলে আপনি নিজেই প্রতারিত হয়েছেন। নিজের মেধা ও যোগ্যতাকে ছোট করে দেখেছেন এবং নিজের প্রতি বিশ্বাসহীনতার শামিল। যথাযথ প্রশিক্ষন শেষে কর্মে যোগ দিয়ে দেশ মাতৃকার সেবায় জনগণের যানমালের নিরাপত্তায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।

জানা যায়, সারাদেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের লক্ষে ময়মনসিংহ জেলায় গত ১ জুলাই জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে শারীরিক মাপ পরীক্ষায় ৬ হাজার ২৮০জন নারী-পুরুষ অংশ নেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৬৮জন উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষা শেষে গত সাত জুলাই ৪৫২ জন উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একই দিন মৌখিক ও মনস্তত্ব পরীক্ষা নেয়া হয়। সোমবার মৌখিক ও মনস্তত্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৫৭জনকে চুড়ান্ত নির্বাচিত করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, পুরুষ সাধারণ কোটায় ১৬০, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান/নাতি কোটা পুরুষ ৩০, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান/নাতি কোটা মহিলা-১, পুলিশ পোষ্য পুরুষ ৭, পুলিশ পোষ্য মহিলা ৩, এতিম পুরুষ ১, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি পুরুষ ৪, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি মহিলা ১, মহিলা সাধারণ ৫০ জনকে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়াও  বিভিন্ন কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় অপুরণকৃত কোটায় সাধারণ নিয়োগ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাবী ও যোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে নিবাচিত নতুন পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরন করে নেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী, আবু সুফিয়ান, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম, ডিআইওয়ান মোখলেছুর রহমান, ডিবি ওসি শাহ কামাল আকন্দ, রিজার্ভ পুলিশের পরিদর্শক মোঃ রোকনুজ্জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনউজ/এএস