স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ

  • পিরোজপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৮:১৯ পিএম

পিরোজপুর: গত ১২ মার্চ স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রীটির ভগ্নিপতি একই গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে ফেরদৌস শেখ ভুল বুঝিয়ে তাকে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ছাত্রীটিকে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করে। 

এ ঘটনায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ভগ্নিপতি ফেরদৌস শেখসহ ৮ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে নাজিরপুর থানায় একটি মামলা করেন। পিরোজপুরের নাজিরপুরে অপহরণের পাঁচ মাস পর অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকারিয়া।

তিনি জানান,  পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতেই অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। কিন্তু অপহরণকারী ফেরদৌস শেখকে ধরা সম্ভব হয়নি। পরে শনিবার সকালে ফেরদৌস শেখকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকারিয়া জানান, অপহৃতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ও অপহরণকারী ফেরদৌস শেখকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় লোকজন জানান, ৬ বছর আগে ভগ্নিপতি ফেরদৌস শেখ ওই ছাত্রীর বড়বোন মাহমুদা আক্তার আখিঁকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ওই কন্যার বয়স যখন দু’মাস তখন তাকে ফেলে রেখে ফেরদৌসের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার আখিঁ অন্য একটি ছেলে সঙ্গে প্রেম করে চলে যায় এবং তাকে বিয়ে করে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ