নীলফামারী : শরীরে আঘাতের চিহ্ন অবস্থায় সাবেদ হোসেন নামের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশ।
রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় ডিমলা উপজেলার পচারহাট ব্যাঙ্গেরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর থেতে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি ওই স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। সে ডিমলা সদর ইউনিয়নের পচারহাট গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
জানা যায়, প্রাইভেট গাড়ি চালক আব্দুস সালাম তার স্ত্রী রুনা বেগম ও দশ বছরের মেয়ে শরিফা আক্তার সহ ঢাকায় থাকতো। আর তাদের ৫ বছরের ছোট ছেলে সাবেদ হোসেন একই এলাকার নানা হামিদুল ইসলামের বাড়িতে থেকেই ওই স্কুলে লেখাপড়া করতো। শনিবার সকালে সাবেদ স্কুলে আসলেও দুপুর ১২টায় স্কুল ছুটির পর আর নানার বাড়িতে ফিরেনি। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে শিশুটির নানা হামিদুল মোবাইলে ঢাকায় বসবাসরত মেয়ে জামাইকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তারা শনিবার রাতের বাসে উঠে রবিবার সকালে এলাকায় পৌঁছেন।
এদিকে সকালে ওই পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী সাবেদের নানা বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। পরে তারা এসে সাবেদের মরদেহ দেখতে পায়ে।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সুরতহাতে শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। দুপুরের পর জেলা মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।
এবিষেয়ে ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
সোনালীনিউজ/এজি/এএস