৪ সেকেন্ডে চেনা যাবে নেশাগ্রস্ত চালক

  • বাগেরহাট প্রতিনিধ | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৪:০৮ পিএম

বাগেরহাট : নেশাগ্রস্ত বা মাতাল গাড়ি চালকদের শনাক্তে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ নামক একটি ডিভাইস নিয়ে রাস্তায় মাদক পরীক্ষার অংশ হিসেবে খুলনা মোংলা মহাসড়ক ও বাগেরহাট -পিরোজপুর মহাসড়ক এর বিভিন্ন স্পটে এ অভিযান চালানো হচ্ছে  হাইওয়ে পুলিশ। এই যন্ত্রের সামনের পাইপ মুখে দিয়ে ফুঁ দিতে হয় চালকদের। এরপর চার সেকেন্ডের মধ্যেই যন্ত্রের মনিটরে ভেসে ওঠে ফলাফল। ১৫ অক্টোবর থেকে খুলনা মোংলা মহাসড়ক ও বাগেরহাট -পিরোজপুর মহাসড়ক এর বিভিন্ন স্পটে এ চালানো হচ্ছে।  

কাটাখালি হাইওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে,  অনেক মাদকসেবী চালক মাতাল হয়ে গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা রোধে এবং মাদকাসক্ত চালকদের চিহ্নিত করতে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ আমদানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের খুলনা-মংলা মহাসড়কে কাটাখালি হাইওয়েতে  প্রথমবারের মতো তারা এই অ্যালকোহল ডিটেক্টর নিয়ে অভিযানে নেমেছেন হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা।

চীন থেকে আমদানি করা এ যন্ত্রটি সারাদেশের হাইওয়ে পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। যাতে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক এবং ভারী যানবাহন চালানোর সময় চালকদের পরীক্ষা করা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেয়া যায় , কাটাখালি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অদ্ভুত এক যন্ত্রের অগ্রভাগ চালকদের মুখে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন অনেকেই। চালকদেরও দেখা যায় মুখে হাসি নিয়ে যন্ত্রটি মুখে ঢোকাতে দিচ্ছেন।

পুলিশ সদস্য এএসআই আরিফুজ্জামান জানান ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা বড় মুঠোফোন সেটের মতো। সামনের দিকে চিকন পাইপের মতো বের হওয়া একটি অংশ আছে। মাদক পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই যন্ত্রের সামনের পাইপ মুখে দিয়ে ফুঁ দিতে হয় চালকদের। এরপর চার সেকেন্ডের মধ্যেই যন্ত্রের মনিটরে ভেসে ওঠে ফলাফল। চালক নেশাগ্রস্ত  হলে শতাংশসহ ‘ইয়েস’ লেখা ওঠে। আর নেশাগ্রস্ত  না হলে ওঠে ‘নো’।

পুলিশ সদস্যরা জানান, ফলাফল ইয়েস হলে সে ক্ষেত্রে ওই চালকের নাম, গাড়ির নম্বর, লাইসেন্স নম্বর ও পরীক্ষাকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ব্যাজ নম্বর ও দায়িত্বরত ইউনিটের নাম যন্ত্রটিতে লিখে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই চালক ও পুলিশ কর্মকর্তার সব তথ্যসহ একটি প্রিন্ট কপি বের হবে। তখন এই কাগজ দিয়ে মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, ‘গতকাল সকাল থেকে খুলনা-মংলা মহাসড়কের কাটাখালি নামক স্থানে এই অভিযান শুরু করেছেন। প্রথমদিন মহাসড়কের কাটাখালি এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনের ২৭জন চালককে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে তবে তাদের মধ্যে কোনো নেশাগ্রস্থ মদ্যপ চালক পাওয়া যায়নি। ওসি বলেন এ অভিযান অব্যাহত থাকবে, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সবসময় এই অভিযান চালানো হবে। এ অভিযান অব্যাহত রাখলে মাদকাসক্ত চালকরা মহাসড়কে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাইবে না ফলে মহাসড়কে দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।’

সোনালীনিউজ/এএস