দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ২২৫০ মিটার

  • শরীয়তপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম

শরীয়তপুর : পদ্মাসেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৩-২৪ নম্বর পিলারে স্থায়ীভাবে বসলো পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সাড়ে ১১টায় পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যানটি জাজিরার ২৩-২৪ নং পিলারে উপর বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী (মূল সেতু) হুমায়ুন কবির।

তিনি আরো বলেন, পাঁচ দিন আগে ক্রেনের সাহায্যে মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি শরীয়তপুরের জাজিরা নাওডোবা ২৩-২৪ নং পিলারের কাছে স্প্যান এসে পৌঁছায়। পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে চর পড়ে যাওয়ায় স্প্যানটি উঠাতে সময় লেগে যায়। আজ স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর মোট দুই হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে স্প্যানটি বসানোর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ২৩-২৪ নম্বর খুটির কাছে এসে চরে আটকে যায়।  ১৫০মিটার লম্বা ও প্রস্থ ১৩ মিটার বিশাল স্প্যানটি ক্রেন দিয়ে উঠানোর হয়। স্প্যানটি বসানো পর মুল সেতুর ২ হাজার ২শ ৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।  ৪২টি স্প্যান জোড়া দিয়েই পদ্মাসেতু তৈরি হবে। ইতি মধ্যে জাজিরা মাওয়া প্রান্তে ২হাজার ২শ ৫০মিটার দৃশ্যমান হলো। পদ্মা সেতুর পাশা পাশি চলছে রেলের কাজ।

পদ্মাসেতুর প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মূল পদ্মাসেতুর ৭৪ শতাংশ এবং সার্বিক ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।  এর মধ্যে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে।  সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে।  পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি।  মূল সেতু নির্মাণের দায়িত্বে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।  আর নদী শাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।তবে স্থানিয়দের অভিগো এখনও পর্যন্ত জমির বিল না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ তারা।  সেতুর কাজ দ্রুত আগানোর কারণে খুশি খতিগ্রস্ত পরিবার।

আরএইচআর/এইচএস