প্রাথমিকের এক বিদ্যালয়ে ১০০ মৌচাক, মজা পাচ্ছে শিশুরা

  • পাবনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ১০:৪৮ এএম

পাবনা: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে ১০০টি মৌচাক দেখা গেছে। একসঙ্গে এক বিদ্যালয়ে মৌমাছি ১০০টি বাসা বাঁধায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের কাকমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়ালে এসব বাসা বেঁধেছে মৌমাছিরা। প্রতিদিন এসব মৌচাক দেখতে আসেন অনেকেই।

এলাকাবাসী বলছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে ১০০টি মৌচাক থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু শিক্ষার্থীরা। যেকোনো সময় বিপদের আশঙ্কা করছেন তারা।

তবে এ নিয়ে মোটেও বিচলিত নয় খুদে শিক্ষার্থীরা। এতগুলো মৌচাক একসঙ্গে দেখে মজা পাচ্ছে তারা। কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৌমাছি হুল ফুটায়নি বলে জানিয়েছে তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাকমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশের দেয়াল ও বারান্দার ভেতরে-বাইরে এবং কয়েকটি গাছে সারিবদ্ধভাবে ১০০ মৌচাক রয়েছে। মৌচাকের চারদিকে ঘুরছে মৌমাছি।

স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ আলী ও জিয়ারুল ইসলাম বলেন, গত বছর থেকে এই এলাকায় সরিষার আবাদ শুরু হয়েছে। এবারও প্রচুর সরিষার আবাদ হয়েছে। এজন্য বিদ্যালয়ের দেয়ালে এতগুলো বাসা বেঁধে মৌমাছিরা।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এত পরিমাণ মৌচাকের কারণে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এসব মৌচাক দেখে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কোনো ভয়ভীতির সঞ্চার হয়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে কামড়ায়নি মৌমাছি।

কাকমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাওসার আলী বলেন, অনেক দিন ধরে বিদ্যালয়ের চারপাশে ১০০’র অধিক মৌমাছির চাক বসেছে। চাকগুলো দেখতে খুব সুন্দর। বড় বড় মৌমাছির চাক। মৌমাছি কাউকে কামড়ায় না। বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা দেখেও ভয় পায় না। বরং মৌচাক দেখে আনন্দ পায় তারা। কেউ মৌচাকে ঢিল মারে না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বলেন, গত কয়েক মাসে সকালে ও বিকেলে হঠাৎ করে কোথায় থেকে মৌমাছি এসে প্রথমে ৩-৪টি বাসা বাঁধে। এরপর বিদ্যালয়ের চারপাশের দেয়ালে ও কয়েকটি গাছে ১০০টির মতো চাক বসায় মৌমাছি। শিক্ষার্থীরা মৌচাক দেখে আনন্দ পায়। গ্রামের উৎসুক মানুষ মৌমাছির চাক দেখতে আসে।

সোনালীনিউজ/এইচএন