স্বামী ঘুমে, ফ্যানে ঝুলছে স্ত্রীর মরদেহ!

  • মেহেরপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২০, ১০:০২ পিএম

মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামে স্বামীর ঘরের সিলিংফ্যানের সাথে রেশমা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  তার মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন চলছে।  

এদিকে রেশমার বাবা আতাহার আলীর অভিযোগ আমার মেয়েকে জামাই হাসিবুল ইসলাম শান্ত শ্বাসরোধে হত্যা শেষে ফ্যানের সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে।  রেশমা তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের বিজিবি ক্যাম্প পাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম শান্তর  স্ত্রী ও একই এলাকার দেবীপুর গ্রামের আতাহার আলীর মেয়ে।  

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে রেশমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে তার শ্বশুরের পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

স্থানীয়রা  জানান দেবীপুর গ্রামের আতাহার আলীর মেয়ে রেশমা খাতুনের দু’বছর আগে বিয়ে হয় তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মাওলানা হাসিবুল ইসলাম শান্তর সাথে। বিয়ের পর থেকে সংসার জীবনে নানা কারণে রেশমা ও তার স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। সে জন্য স্বামী শান্ত শ্বাসরোধে হত্যা শেষে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে। যা সন্দেহজনক।  

তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) গোলাম কিবরিয়া জানান, রেশমা সিলিংফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ভোরে এমন খবর দেয় তার শ্বশুরের লোকজন। গিয়ে দেখি রেশমার মরদেহ উপর থেকে নামিয়ে ফেলেছে তার স্বামী শান্তসহ পরিবার ও প্রতিবেশীরা। 

রেশমার স্বামী হাফেজ মোহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম শান্ত  জানান আমরা স্বামী-স্ত্রী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোর ৫টার দিকে ঘুম থেকে জেগে দেখি ফ্যানের সাথে স্ত্রী রেশমার মরদেহ ঝুলছে। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশীদের জানায়। প্রতিবেশীরা এসে তার মরদেহ উপর (ফ্যান) থেকে নিচে নামায়।  

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান খবর পেয়ে পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

সোনালীনিউজ/এআইএ/এএস