গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জনকে কুঁপিয়ে জখম

  • যশোর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২০, ০৪:৫৩ পিএম
ছবি: প্রতিকী

যশোর: অভয়নগরে বাগদা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জনকে কুঁপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাগদা গ্রামের হারুন অর রশিদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা করে পঞ্চাশ হাজার টাকা, ঘেরের মাছ বিক্রির তের হাজার পাঁচশত টাকা ও একটি নোকিয়া মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত অনুমান ৮.০০টার সময় আরিফ শিকারী, মোঃ আনছার শিকারী, আইয়ুব শিকারী, নাজমুল হোসেন, আব্বাস শিকারী, কালাম শিকারী, তরিকুল শিকারী, মিন্টু শিকারী, আনছার শিকারী, আঃ কাদের শিকারী, জাহান শিকারী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাগদা গ্রামের হারুন অর রশিদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা করে পঞ্চাশ হাজার টাকা, ঘেরের মাছ বিক্রির তের হাজার পাঁচশত টাকা ও একটি নোকিয়া মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

এ সময় দুবৃত্তের হামলায় মোঃ হারুন অর রশিদ (৪৮) ও তার পিতা মোঃ আবু বকর শেখ (৬৫), আব্দুল মজিদ সরদার(৬২), গোলাম মোস্তফা(৫৮), মশিয়ার রহমান(৩২) আহত হয়। এদের মধ্যে মোঃ আবু বকর শেখ, আব্দুল মজিদ সরদারকে গুরুতর অবস্থায় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

হারুন অর রশিদ বলেন, বাগদা গ্রামের শিকারী বংশের লোকেরা এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, গুন্ডা প্রকৃতির লোক, একাধিক মামলার আসামী। মোঃ আবু বকর শেখ বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ নামাজ কালাম নিয়ে থাকি, হামলার হাত থেকে ওরা আমাকে রেহাই দেয়নি।

সাবেক ইউপি মেম্বর গোলাম মোস্তফা বলেন, শিকারী বংশের লোকেরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে তাদের আধিপত্য চালায়, প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করে। 

প্রত্যক্ষদর্শী জামাল বলেন, শিকারীরা বহু মামলার আসামী, তারা কাউকে পরোয়া করেনা। রাজঘাট পুলিশ ক্যাম্পের আইসি সুরঞ্জিত বলেন, ঘটনা সত্যি, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, ও.সি স্যারের সাথে কথা বলে তদন্ত স্বাপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ