গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

  • গাইবান্ধা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২০, ০৭:২৯ পিএম

গাইবান্ধা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি হু হু করে বাড়ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ।

বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১৬ সেন্টিমিটার উপরে, ঘাঘট নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তার পানি ৪ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ার পানি ২৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চুঁইয়ে পানি অপর পাড়ে যাচ্ছে। এতে বাঁধটি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যার পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, বাঁধের ভাঙা অংশে জিও ব্যাগ ফেলে তা রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

অপরদিকে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার ও জ্বালানির অভাব দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার অনেকে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বন্যা কবলিত চারটি উপজেলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২১ হেক্টর জমির পাট, আমন বীজতলা, আউশ ধান এবং বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

সোনালীনিউজ/টিআই