ব্রহ্মপুত্র নদে সরকারি গমসহ ট্রলারডুবি

  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৬, ১০:২৫ পিএম

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে সরকারি ৩০০ মন (২৪০ বস্তা) গমসহ একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে সরকারি ওই গমভর্তি ট্রলাটি ডুবে যায় বলে জানা গেছে। এ সময় নৌকার মাঝি কোনো জীবন রক্ষা করে তীরে ভিড়তে পেরেছে। গমগুলো রাজীবপুর খাদ্য গুদাম থেকে কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদামে নেওয়া হচ্ছিল বলে জানা গেছে। তবে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ট্রলারডুবি বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি।

বুধবার (২৫ মে) বিকেল পৌনে ৪টায় ব্রহ্মপুত্র নৌরুটের নটারকান্দি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রলারের মাঝি আব্দুল খালেক ও আব্দুস সবুর জানান, রাজীবপুর খাদ্য গুদাম থেকে গমগুলো কুড়িগ্রামে নেওয়া হচ্ছিল। যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদের নটারকান্দি নামক স্থানে পৌঁছানোমাত্র হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে। ঢেউয়ের চাপে ট্রলার ভেঙ্গে দু’ভাগ হয়ে যায়। আমরা তিনজন সাঁতরে কোনো রকমে বাঁচতে পেরেছি। ট্রলারে ১২টন ২৪০ বস্তায় ৩০০ মন গম ছিল, যা সম্পূর্ণভাবে ডুবে যায়।

সরকারি গম এক গুদাম থেকে অন্য গুদামে সরবরাহকারী ঠিকাদার মাহমুদুন্নবী মুন্না ও হাবিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, যে স্থানে ট্রলার ডুবেছে সেখান থেকে গমের বস্তা উদ্ধার করা খুবই কঠিন কাজ।
 
এদিকে রাজীবপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা বদিউজ্জামান দাবি করেন, গুদাম থেকে গম বের হওয়ার পর অন্য গুদামে পৌঁছানা পর্যন্ত সব দায়-দায়িত্ব ঠিকাদারের। এখন পর্যন্ত ঠিকাদার আমাকে কিছুই জানায়নি তাই আমি কিছু বলতে পারছি না। তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী ঠিকাদারের মাধ্যমে রাজীবপুর থেকে কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদামে ৩৫৫ টন স্থানান্তিরত কার্যক্রম চলছে। ঘটনার দিনও ২৭ টন গম গুদাম থেকে ঠিকাদার বুঝে নিয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের ডাটিয়ার চরাঞ্চলের অষ্টমীচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আছর উদ্দিন নামের এক মাঝি নিখোঁজ হয়েছিল। পরে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’

রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফিরোজ শাহ বলেন, ‘আমিও শুনেছি ঘটনাটি। কিন্তু আমাদের গম কিনা তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।

সোনালীনিউজ/ঢকা/এমএইচএম