চাল পৌঁছে গেছে বান্দরবানের থানচিতে

  • বান্দরবান প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৬, ০৯:৪১ পিএম

বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু এবং রেমাক্রী ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় বসবাসরত জুমচাষিদের মওসুমি খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় হেলিকপ্টারে করে চাল পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে হেলিকপ্টারে করে ১০ মেট্রিক টন চাল দুর্গম এলাকায় পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।

জেলা প্রশাসক জানান, ২০১৫ সালে বৈরি আবহাওয়ার কারণে জুমের ফলন ভালো না হওয়ায় চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে খাদ্য সঙ্কটে পড়ে দুর্গম এই এলাকার পাহাড়ি জনগোষ্ঠির লোকজন। আর সেটি পূরণের জন্য খাদ্য শস্য পাঠানো হচ্ছে। হেলিকপ্টারে পাঠানো খাদ্যগুলো রেমাক্রি ইউনিয়নের দলিয়নপাড়া এবং বড়মদক তিন্দু ইউনিয়নের জিন্নাহ পাড়ায় বিতরণ করা হবে। এছাড়াও নৌকায় করে ২০ মেট্রিক টন চাল দুর্গম এলাকার পাহাড়ি লোকজনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

তিন্দু ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মং প্রু মারমা বলেন, খাদ্যাভাব বলা হলেও বাজারে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে দুর্গম এলাকাগুলোতে কর্মসংস্থান নেই এবং কর্মসংস্থান না থাকায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও নেই।

মং প্রু মারমা বলেন, ভরা বর্ষা মওসুমে উপজেলা সদরের সঙ্গে দুর্গম এলাকায় হাঁটাচলার যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মূলত সে কারণেই এসব এলাকার লোকজনকে খাদ্যসঙ্কটে ভুগতে হয়।

থানচির দুর্গম তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নের ছোট মোদক, বড় মোদক, সাঙ্গু রিজাভসহ মূলত কয়েকটি এলাকায় খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে। আর গত ২৫ মে বান্দরবানের থানছি উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে চরম খাদ্যসঙ্কটে পড়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠিরা, শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন