ভোলাতে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা

  • ভোলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০৪:৩৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ভোলা : লকডাউনের মাঝেই দোকানপাট, শপিং মল খোলার সরকারী নির্দ্দেশনার তৃতীয় দিনে আজ। বুধবার  (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে ভোলায় সব ধরনের দোকান-পাট, মার্কেট ও বিপণী বিতানে চলছে বেঁচা-কেনা। সাধারণ মানুষ গাদাগাদি করে দোকানে কেনাটাটায় হুমড়ি খেয়ে পরেছে। 

অধিকাংশ ক্রেতার মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই বললেই চলে। আর দোকানগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকলেও তা ব্যবহারে উদ্যোগ নেই ব্যবসায়ীদের।

ভোলা শহরের চক বাজারের ব্যাবসায়ী গোপাল সাহা বলেন, তারা যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির যে সচেতনতা সেটি নেই বললেই চলে।
 
বাজারে আসা ক্রেতা আকলিমা, জুলেখা ও মরিয়ম বেগম বলেন, ঈদ উপলক্ষে তারা মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন। তবে দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসার মত জায়গা নেই। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকলেও তা নিজে থেকে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের দিচ্ছেন না বলে তারা অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে সকাল থেকেই ভোলা শহর যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। অবাধে চলছে রিকশা মোটরসাইকেলসহ সবধরনের যানবাহন। অটোরিকশাগুলোতে একজনের বদলে গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। সামাজিক দুরত্ব মুখে মাস্ক পড়া এসব নিয়ম মানাছেনা কেউ। ফলে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

স্বাস্থ্যবিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ জন । এর মধ্যে মার্চ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৯৫ জন থাকলেও এপ্রিল মাসে তা পাঁচগুণ বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা হয় ৬৩৪ জন। যার মধ্যে ৪৭৩ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. এনায়েত হোসেন জানান, সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পুলিশের পক্ষ থেকে ভোলার শহরের ৬টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ তাদের নিজ নিজ স্থান থেকে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ