পশুর হাটে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি 

  • নীলফামারী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম
ছবি : গরু-ছাগলের হাট

নীলফামারী:  নীলফামারী জেলায় কোন হাটেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব। ফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করছেন অনেকে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) জেলার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এবং ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বসুনিয়া হাটে গিয়ে দেখা গেছে, গরু বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। একটি গরু বিক্রি করতে হাটে এসেছেন ২ থেকে ৩জন। আবার একটি গরু কিনতে হাটে এসেছেন ৪থেকে ৫জন। বিপুল সংখ্যক গরু ও ছাগল হাটে আনা হয়েছে বিক্রি করতে। তার চেয়ে ১০গুন বেশী মানুষের সমাগম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কেনা বেচা। সারি সারি করে পাশাপাশি গরু বেঁধে রাখা হয়েছে বিক্রি করার জন্য। গরু এবং মানুষের গা ঘেঁষে চলাচল করতে হচ্ছে। হাটে আগতদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। 

অনেকের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও তা থুতনির নীচে। বেশীর ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। হাটে আসা লোকজন মানছেন কোন কিছুই। স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে হাট কর্তৃপক্ষও উদাসীন। হাটে আগতদের হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজারের কোন ব্যবস্থা নেই। করোনা মহামারীর এই সময়ে মানুষ জনের অবাধ বিচরণ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করছেন অনেকে। এ ব্যাপারে ডোমর উপজেলার সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে হাটে আসা লোকজনদের সচেতন করবে হাট ইজারাদার। এটা তাদের দায়িত্ব। 

নীলফামারী জেলায় বেশ কয়েকটি পশুর হাট রয়েছে এরমধ্যে সদর উপজেলার নীলফামারী ,রামগঞ্জ , ভবানীগঞ্জের, কচুকাট, প পুকুর, যাদুর হাট, ঢেলাপীরের হাট, কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিশোরগঞ্জ হাট। ডিমলা উপজেলার শুটিবাড়ীর হাট, বাবুর হাট, ডাঙ্গার হাট, কলোনী হাট, চাপানীর হাট। জলঢাকা উপজেলার মিরগঞ্জ হাট, গোলমুন্ডার হাট, রাজার হাট, জলঢাকা হাট, কৈমারী হাট, টেঙ্গনমারী হাট এবং ডোমার উপজেলায়  বসুনিয়া হাট, আমবাড়ী হাট এবং বোড়াগাড়ী হাট।

আরও পড়ুন- করোনায় খুলনা বিভাগে আরও ৩২ জনের মৃত্যু

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, হাট বাজারগুলোতে নিরাপদ দুরত্ব কিংবা শারীরিক দুরত্ব একেবারেই মানছেন না।  এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী এক থেকে দু’সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।

সোনালীনিউজ/এসএন