‘পরীমণির মায়ের মৃত্যু আগুনে পুড়ে, বাবা হন খুন’

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১, ০৩:৫৩ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।এঘটনার পর সারাদেশের মতো তার গ্রামের বাড়িতেও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অবশ্য এলাকাবাসী তাকে পরীমণি নয়, বরং শামসুন্নাহার স্মৃতি হিসেবেই মনে রেখেছেন। 

পরীর জন্ম ও বেড়ে উঠা পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ৪ নং ইকড়ি ইউনিয়ন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোটশৌলা গ্রামে। ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর জন্ম হয় তার।

মা-বাবা হারানো পরী বড় হয়েছেন অভাব-অনটনে। ১০৩ নং দক্ষিণ সিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন জানান, ১৯৯৫-৯৬ সালের দিকের কথা। তখন স্মৃতির বয়স মাত্র তিন বছর।তার মা সালমা আগুনে পুড়ে মারা যায়। এলাকায় গুঞ্জন আছে, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় রান্নাঘরে গ্যাস ছেড়ে রেখেছিল। আগুন জ্বালাতেই সেই আগুনে দগ্ধ হয় সালমা। তবে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই।

তিনি বলেন, পরীর বাবা মনিরুলের তখন ঢাকায় পোস্টিং। সেখানে একটি বাসায় আগুনে পুড়ে গুরুতর দগ্ধ হন সালমা। ঢাকায় কিছু দিন চিকিৎসার পর তাকে বাবা শামসুল হক গাজীর কাছে রেখে যান। এর দুই মাস পর মারা যান সালমা। এরপর থেকে স্মৃতিকে তার নানা-নানি ও খালারা লালন-পালন করেন। স্মৃতির নানি মরহুমা ফাতিমা বেগম ১০৩ নং দক্ষিণ সিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমি প্রধান শিক্ষক হই।

স্মৃতি ওরফে পরীমণি সর্ম্পকে তিনি বলেন, ছোট থেকেই স্মৃতি ভালো ছাত্রী ছিল। তার নৈতিকতাও ভালো ছিল। পঞ্চম শ্রেণিতে স্কুল থেকে একমাত্র সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এখন পর্যন্ত এই স্কুল থেকে আর কেউ বৃত্তি পায়নি। দেখতে খুব সুন্দর ছিল স্মৃতি। মা-বাবা হারানো এতিম শিশুটিকে এলাকার সবাই অনেক আদর করত। 

পরিমণির ছোট খালা তাসলিমা পাপিয়া বলেন, ২০১২ সালে খুন হন স্মৃতির বাবা মনিরুল ইসলাম। কি একটা কারণে তার চাকরি চলে গিয়েছিল। তখন তিনি তার গ্রামের বাড়িতে থেকে ব্যবসা করতেন। আমরা শুনেছি, সেই ব্যবসার বিরোধ নিয়ে রাতের অন্ধকারে তাকে শত্রুরা কুপিয়ে মেরে ফেলে। স্মৃতির মা মারা যাওয়ার পরে ওকে আমরাই লালন-পালন করে বড় করেছি।

সূত্র-ঢাকা পোস্ট

সোনালীনিউজ/আইএ