পরীমণির ওপর দুই কারণে নাখোশ তার গ্রামবাসী

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২১, ০৯:৫৪ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।এঘটনার পর সারাদেশের মতো তার গ্রামের বাড়িতেও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অবশ্য এলাকাবাসী তাকে পরীমণি নয়, বরং শামসুন্নাহার স্মৃতি হিসেবেই মনে রেখেছেন। 

পরীর জন্ম ও বেড়ে উঠা পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ৪ নং ইকড়ি ইউনিয়ন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোটশৌলা গ্রামে। ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর জন্ম হয় তার।

মা-বাবা হারানো পরী বড় হয়েছেন অভাব-অনটনে। 

১০৩ নং দক্ষিণ সিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ছোট থেকেই স্মৃতি ভালো ছাত্রী ছিল। তার নৈতিকতাও ভালো ছিল। পঞ্চম শ্রেণিতে স্কুল থেকে একমাত্র সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এখন পর্যন্ত এই স্কুল থেকে আর কেউ বৃত্তি পায়নি। দেখতে খুব সুন্দর ছিল স্মৃতি। মা-বাবা হারানো এতিম শিশুটিকে এলাকার সবাই অনেক আদর করত। 

এলাকাবাসীর কাছে স্মৃতি ছিলো ভালো মেয়ে। গ্রামে তার কোনো অপকর্ম নেই। ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আগ্রহ ছিল স্মৃতির। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিনয়ে, নাচে প্রথম স্থান অধিকার করত। উপজেলা ও জেলা পর্যায় থেকেও অনেক পুরস্কার অর্জন করেছে সে।

তবে এলাকাবাসী সবাই পরীমণিকে ভালোবাসেন তেমন নয়, তার ওপর খুশি নন এমনও অনেকে আছেন। তাদের অভিযোগ, বড় নায়িকা হওয়ার পরে নিজেকে অহংকারী হিসেবে উপস্থাপন করতেন পরীমণি। ২০২০ সালে সিংহখালী গ্রামে পরীমণির বেড়াতে আসার খবর পেয়ে তার নিজের কলেজের কিছু ছাত্রী দেখা করতে এসেছিল, কিন্তু তাদের সঙ্গে দেখা করেননি পরীমণি।

তাদের আরেকটি অভিযোগ- বড় নায়িকা হওয়ার পরে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় এফডিসিতে ৫-৬টি পশু কোরবানি করলেও গ্রামবাসীকে নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো কোরবানি দেননি পরীমণি! তিনি নিজের গ্রামের মানুষদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন বলে জানান তারা।

সোনালীনিউজ/আইএ