গায়েহলুদের ছবি তোলা নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিনিময়

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১, ০৫:৫৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লা : কুমিল্লার হোমনায় গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ঘারমোরা বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন - রাজিব মিয়া, শাহ আলম, আলী আকবর, জিলানী, অজিত, সাব মিয়া, মোমেন, শাহ আলম, নজরুল মিয়া ও কবির হোসেন। এদের মধ্যে রাজিব মিয়া, শাহ আলম, আলী আকবর, সাব মিয়া ও মোমেন গুরুতর আহত হন। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আবুল কায়েস আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বড় ঘারমোরা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়ার গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পাশের গ্রাম হুজুরকান্দির রাসেল, ইমরান ও অন্তরসহ ৮-১০ যুবক অনুমতি না নিয়ে মোবাইল ফোনে কয়েকজন তরুণীর ছবি তোলেন। এ নিয়ে বড় ঘারমোরা গ্রামের আউয়াল মিয়াসহ কয়েকজনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আবদুল আউয়াল বড় ঘারমোরা গ্রামের বাজারে দুধ বিক্রি করতে গেলে হুজুরকান্দি গ্রামের যুবকরা তাকে মারধর করেন এবং দুধ ফেলে দেন। এ ঘটনায় আওয়ালের ভাই জাহাঙ্গীর আলম শনিবার রাতেই হুজুরকান্দি গ্রামের পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

ওই মামলায় রাতেই হুজুরকান্দি গ্রামের বকুল নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। রোববার সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঘারমোরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা বলেন, গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা মিটমাট করতে রোববার আমরা বাজারে বসেছিলাম। সেখানে হুজুরকান্দি ও ঘারমোরা গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশকে ফোন করা হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।