স্বর্ণের গহনা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লো খুনি

  • গাজীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২, ১২:০৩ পিএম
ফাইল ছবি

গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে চলতি বছরের গত ৩ জানুয়ারি খুন হন রাশিদা বেগম (৪৫)। দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার তালুকদারের ভিটা থেকে পাতায় ঢাকা রাশিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। 

এরপর হত্যার রহস্য উদঘাটনে নামে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি দল। ঘটনার দুই দিনের মধ্যে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।

এরা হলেন, উপজেলার লোহাগাছা বিন্দুবাড়ি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ওমর ফারুক (২০) ও  একই এলাকার মো. হাসমতের ছেলে রাব্বি (১৯)। 

নিহতের স্বর্ণের নাকফুল ও গলায় থাকা রুপার চেইন ধরিয়ে দেয় খুনিদের। পুলিশ বলছেন, এরা শুধু খুনিই নয় ধর্ষকও। ধর্ষণের কথা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়েই খুন করা হয় রাশিদাকে। খুনিরাই পুলিশকে একথা জানিয়েছে।

রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন।  

শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামে স্বামী ও দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করতেন রাশিদা বেগম (৪৫)। সুখে চলছিল রাশিদা-শহিদুল দম্পতির সংসার। রাশিদা স্থানীয় ইসরাক স্পিনিং মিলে চাকরি করলেও স্বামী শহিদুল চালাতেন রিকশা। 

ওসি বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে ওমর ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরআগে গত ৫ জানুয়ারি ওমর ফারুকে উপজেলার বিন্দুবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ফারুকের দেওয়া তথ্য মতে গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাব্বিকে একই উপজেলার লোহাগাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।     

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ শেখ জানান, রাশিদা বেগম গত শনিবার (২ জানুয়ারি) বাড়ির পাশে দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার তালুকদারের ভিটা নামের গজারীবনে পাতা কুড়াতে যান। সেখানে অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও রাব্বি একা পেয়ে রাশিদাকে পেছনে থেকে জাপটে ধরেন। এ সময় রাশিদা চিৎকার দিলে তার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফারুক ও রাব্বি ধর্ষণ করে। এদিকে, রাশিদা ও ফারুক একই কারখানায় চাকরির কারণে ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে দুজনে মিলে শ্বাসরোধ করে মেরে মরদেহ জঙ্গলে ফেলে দেন। স্থানীয়রা পরদিন জঙ্গলে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, হত্যার পর রাশিদার স্বর্ণের নাকফুল ও গলায় থাকা রুপার চেইন ওমর ফারুক স্থানীয় সাঈদ নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য যান। পরে সাইদের দেওয়া তথ্যমতে ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, বোনের বাড়ি জামালপুর থেকে নাকফুল ও রুপার চেইন উদ্ধার করা হয়।

সোনালীনিউজ/এসআই