ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়ে বাদীকে বিয়ে করলেন এসআই

  • পঞ্চগড় প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২২, ১০:১৬ এএম
কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল, ছবি : সংগৃহীত

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে ধর্ষণ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে বিয়ে করার শর্তে জামিনের আবেদন করেন কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল। আদালত তাকে বিয়ের শর্তে জামিন দিলে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে দুপুরেই ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন এসআই জলিল।

বুধবার (২৩ মার্চ) জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার বিকেলে এসআই জলিলকে জামিন দেন।

বাদীর আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জলিলের নামে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর মামলা করেছিলেন পঞ্চগড়ের এক নারী। সেই মামলায় জলিলের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করে আদালত।

আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে বিয়ে করার শর্তে জামিনের আবেদন করেন এসআই জলিল। আদালত তাকে বিয়ের শর্তে জামিন দিলে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে দুপুরেই ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন এসআই জলিল।

বাদী বলেন, ‘এতদিন আমি জলিলের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাইনি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতে মামলা করার পর আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।’

এজাহারে বলা হয়েছে, জমির বিরোধ নিয়ে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগর সদর থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন বাদী। সে সময় থানার এএসআই ছিলেন জলিল।

বাদীর অভিযোগ, জিডির তদন্ত করতে গিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলেন জলিল। এরপর ভুয়া কাবিবনামা তৈরি করে শারীরীক সম্পর্কেও তাকে জড়ান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

ওই নারী জানান, বিয়ের কাবিননামা চাইলে জলিল তা অস্বীকার করেন। এ কারণে প্রতারণা ও বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে তিনি ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর জলিলের নামে পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন।

আদালত মামলা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২৩ জানুয়ারি জলিলের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান। সেটির মেয়ার শেষ হয়ে গেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে গত রোববার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। আদালত তখন তাকে কারাগারে পাঠায়।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ