স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেলো স্বামীর

  • বগুড়া প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২২, ১২:২৬ পিএম
ফাইল ছবি

বগুড়া: অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী-সন্তানসহ স্বজনরা। পথে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অ্যাম্বুলেন্সটির। এতে স্বামী আয়নাল হক (৪৫) নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ আরও তিনজন।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

দুর্ঘটনায় নিহত আয়নাল হক গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন- একই উপজেলার মকবুল হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (১০) নিহতের ছেলে ফিরোজ আলী (৩০) ও পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার অ্যাম্বুলেন্স চালক দ্বীন ইসলাম (৩৫)।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নাদের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার আগে বগুড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকায় যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি মহাসড়কের উপজেলার ঘোগা এলাকায় এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আয়নাল মারা যান। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদের বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি ফিরোজ আলী বলেন, গুরুতর অসুস্থ মাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই মারা যান মা। অ্যাম্বুলেন্সযোগে মায়ের মরদেহ নিয়ে গ্রামে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাবা আয়নাল হকও মারা গেছেন।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক-হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। তবে বাস ও অ্যাম্বুলেন্স জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি থানায় একটি মামলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এসআই