বাড়িতে ঢুকে দুই বোনকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ 

  • খুলনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২, ১১:০৯ এএম
ফাইল ছবি

খুলনা: খুলনায় দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তাদের একজন ১৩ বছরের কিশোরী ও অপরজন ২২ বছরের যুবতী। শনিবার (১৪ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা ফুলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনার সময় যুবতীর শিশুসন্তানকে পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৫ মে) তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী দুই জন খালাতো বোন।

জানতে চাইলে বটিয়াঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জনা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতে পাঁচ-সাত সদস্যের সংঘবদ্ধ একটি দল বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কয়েকজন বাইরে পাহারা দেয় আর অন্যরা ঘরে প্রবেশ করে ১৩ বছরের কিশোরী ও তার খালাতো বোনকে (২২) ধর্ষণ করে। তার আগে ধর্ষণের শিকার যুবতীর শিশুসন্তানকে তারা পানিতে চুবিয়ে রাখে। ঘটনার পর শিশুটি উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে খুলনা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন ধর্ষণের শিকার যুবতী।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পথে তারা ফরিদ নামে দালালের খপ্পরে পড়েন। ওই দালাল তাদের থানায় আসতে বাধা দেয়।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, ঘটনাটি শনিবার মধ্যরাতের। তবে রোববার রাতে তাদের দুজনকে ও শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশও যায় সে সময়।

তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে আমি বোনের বাড়ি ডুমুরিয়ায় গিয়েছিলাম। আমার স্বামী বাগেরহাটে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ সময় বাড়িতে ওরা দুই বোন ছিল। মধ্যরাতে সাত জন আমাদের বাড়িতে যায়। তাদের কয়েকজন বাইরে পাহারায় থাকে আর কয়েকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, ভোরে মেয়ে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমরা গিয়ে তাদের মেডিকেলে নিয়ে যাই। ঘটনার সময় বড় মেয়ের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড় মেয়ে সেখানে গেছে ছেলে নিয়ে। সেও অনেক অসুস্থ।

সোনালীনিউজ/এসআই