ধীর গতিতে কমছে পানি, আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষ

  • কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২, ০৩:৪০ পিএম

নেত্রকোনা : নেত্রকোণার কলমাকান্দায় গত এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। এর পাশাপাশি ধীরগতিতে কমছে বন্যার পানি । এ সপ্তাহে প্রতিদিন আকাশে হালকা রোদের দেখা মিলেছে। তবে মাঝে মাঝে কোথাও কোথাও হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবার বিকাল ৩টার দিকে উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা ডাক বাংলা পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এখনো বন্যার পানি রাস্তাঘাট ও অনেকের বাড়ির উঠানে থাকলেও ঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছেন অধিকাংশ মানুষ।

কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী ৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭ হাজার বন্যাকবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। বর্তমানে উপজেলায় ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে  প্রায় এক হাজার বন্যাকবলিত মানুষ রযেছেন। আর অন্যরা সবাই বাড়িতে চলে গেছেন। আবার বন্যার স্রোতে অনেকের বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় কোথায় গিয়ে উঠবেন এমন চিন্তায় তারা আশ্রয়কেন্দ্রেই রয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিমাপক মোবারক হোসেন জানান, আজ সোমবার বিকাল ৩টার দিকে উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা ডাক বাংলা পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ধীর গতিতে নদীর পানি কমছে।

কলমাকান্দা উপজেলায় গত ১৬ জুন রাত থেকে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বেশিরভাগ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তা ছাড়া প্রায় ১০০ জন গ্রাহকের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্ধ আছে ২১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মানুষের সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে আছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ গবাদিপশু।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িঘরে এখনো বন্যার পানি রয়েছে। তাই এখনি বন্যাকবলিত সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে পারছে না। তবে যাদের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে, তারা আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। কলমাকান্দা সদরের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট এখনো প্লাবিত। এসব সড়কের কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও কোমরসমান পানি। এসব এলাকায় নৌকা ছাড়া চলাচল করতে পারছেন না কেউ।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম সাংবাদিকদের বলেন, পানি কিছুটা কমলেও অনেকের বাড়িঘরে এখনো পানি রয়েছে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো প্রায় এক হাজার মানুষ রয়েছে। অন্যদের বাড়ি থেকে পানি নেমে যাওয়ায় তারা বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই