ভারতে পাচার হওয়া সেই কলেজছাত্রী উদ্ধার, প্রেমিক আটক

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি: | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ১২:২২ পিএম

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে পরে ভারতে পাচারের পর দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে ভিডিও দেয়া ১৯ বছর বয়সী সেই আলোচিত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় পুলিশ। এসময় প্রতারক প্রেমিক শুভকে আটক করা হয়েছে। 

সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে সোনালীনিউজকে এ ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বড় ভাই কামরুজ্জামান লুলু।

এর আগে শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে ভারতের শিলিগুড়ি জেলার ঘোড়ার মোড় এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। প্রেমিক তিলক ওরফে শুভ বর্তমানে কলকাতার শিলিগুড়ি জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছে। 

এদিকে উদ্ধার করা সেই ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ভারতীয় পুলিশের সহযোগীতায় নারী সেফ হোমে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে অপহৃত কলেজ ছাত্রী পরিচয় দিয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আকুতি জানান। ভিডিওটি মুহুর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে ভারতের শিলিগুড়ি এলাকার ঘোড়ার মোড়ে এক বাসায় বন্দী অবস্থায় নিজেকে উদ্ধারের আর্তি জানানো ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি থানা পুলিশ। এসময় প্রতারক প্রেমিককেও আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর ভাই কামরুজ্জামান লুলু জানান, ভারতীয় পুলিশের সহযোগীতায় আমার বোন বন্দি দশা জীবন থেকে উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে শিলিগুড়ি থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাকে মহিলা সেফ হোমে রাখা হয়েছে। আমরা ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনারের অফিসে যোগাযোগ করেছি। আশাকরি দ্রুত আইনি জটিলতা শেষে আমি আমার বোনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহা আলম বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। অভিযোগ পেয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ১নং আসামি বাদে সকল আসামি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। ভারতে থাকা ওই কলেজ ছাত্রীকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের হাই কমিশনার বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ডিসেম্বর প্রেমের ফাঁদে পরে অপহরণের শিকার হয় ওই কলেজ ছাত্রী। অপহরণের পর হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বড় ভাই কামরুজ্জামান লুলু। ওই মামলায় হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুকুড়ি এলাকার ধনঞ্জয়ের পুত্র তিলকসহ ৫ জনকে আসামী করা হয়। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক সুকুমার রায় ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার না করেই অর্থের বিনিময়ে দুই আসামির নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এদিকে মেয়ের পরিবারের লোকজন অভিযোগ তোলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের মেয়েকে ভারতে পাচার করতে সহযোগীতা করেছে। এদিকে ভিডিও বার্তায় কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেছেন তার হাত পা বেঁধে কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে ভারতে পাচার করে প্রেমিক শুভ।

সোনালীনিউজ/আইএ