জঙ্গি শামীমের গ্রামে আলোচনা-সমালোচনা

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২, ০৪:১১ পিএম

সুনামগঞ্জ: ঢাকায় আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার পর সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ও আদালত পাড়া কঠোর নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ ও বিজিবি।

ছিনিয়ে নেওয়া দু জঙ্গির মধ্যে মইনুল হাসান শামীম নামে একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জে।

জেলার ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আব্দুল কদ্দুস মিয়ার ছেলে।

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দুই জঙ্গি আবু ছিদ্দিক সোহেল ও মঈনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নিয়েছে জঙ্গিরা। ছিনিয়ে নেওয়ার পর পরই তাদের ধরতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পুলিশ তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে। পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।  

এদিকে ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষিদ্ধঘোষিত জেএমবি সদস্য মইনুল হাসান শামীমকে তার সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা শুনার পর থেকে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে তার পরিবার খুবই ভালো। কিন্তু খারাপ মানুষ পাল্লায় পড়ে নিষিদ্ধঘোষিত জেএমবি সংঘটনের সঙ্গে যুক্ত হয়। এ নিয়ে পরিবারের কেউ মুখ খুলতে নারাজ।

এ বিষয়ে চেয়ারম‌্যান কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওদুদ সাংবাদিকদের জানান, তারা চার ভাই দু বোনের মধ্যে শামীম সবার ছোট। বাড়িতে তার মা শুধু একা বসবাস করে। ভাইয়েরা সবাই দেশের বাইরে অবস্থান করে। তার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা ছিল, পরিবারটি ভালো ছিল। কিন্তু হঠ্যাৎ করে কীভাবে এ জঙ্গিদের সঙ্গে মিশে যায় তা আমাদেরও বোধগম্য হয়নি। রোববার (২০ নভেম্বর) আদালত থেকে তার পালানোর বিষয়টি টিভি, ফেসবুকে ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে শুনেছি দেখেছি।  

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। বাড়িতে তার ৭০-৮০ বছরের বৃদ্ধ মা ছাড়া কেউ নেই।  

এবিষয়ে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন ,ঘটনাটির পর থেকে আমরা কঠোর নজরদারি রাখছি। সে সঙ্গে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। দুই জঙ্গি কোনোভাবেই যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে তার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। প্রতিটি থানায় কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র-বাংলানিউজ২৪

সোনালীনিউজ/আইএ