‘কলাবতী’ শাড়ির উদ্ভাবককে সংবর্ধনা

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম

মৌলভীবাজার: দেশে প্রথমবারের মতো কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা তৈরি করে মণিপুরি শাড়ির উদ্ভাবক রাধাবতী দেবীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (০৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায়  মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামে ইন্দোবাংলা এবং ভানুবিল মাঝেরগাওঁ কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমের উদ্যোগে রাধাবতী দেবীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

ভানুবিল মাঝেরগাঁও কমিউনিটি বেইজড পরিচালক থৌওনাজম নিরঞ্জন সিংহের সভাপতিত্বে ট্যুরিজমের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারতের মণিপুর থেকে আগত ১৯ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্সের সভাপতি জয়ন্ত কুমার সিংহ, কবি সনাতন হামোম, কিয়াম ইবচোউ সিংহ, অরুণ কুমার সিংহ, টিএইচ শ্যাম সিংহ, এন নবচন্দ্র সিংহ, জিতেন সিংহ, কেএইচ নিমাই সিংহ প্রমুখ।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) মণিপুরি তাঁতশিল্পী ও কলাবতী শাড়ির উদ্ভাবক রাধাবতী দেবী বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের ডাকে সাড়া শাড়িটি বুনেছি। আমার এলাকায় যারা মণিপুরি শাড়ি বুনেন, সবাই আমাকে বলেছিলেন এ দায়িত্ব না নিতে। তারপরও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল হই।  

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকেই সুতা দিয়ে শাড়িসহ নানা কিছু তৈরি করেছি। কিন্তু কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি ছিল আমার কাছে একেবারেই নতুন। দীর্ঘ ১৫ দিনের চেষ্টায় আরও তিনজন সহযোগীকে নিয়ে তাঁতে বসে তৈরি করে ফেলি জামদানি ডিজাইনের কলাগাছের সুতা দিয়ে তৈরি শাড়ি।  
তিনি জানান, সাধারণ সুতায় ৫০০ গ্রাম দিয়ে যেখানে একটি শাড়ি তৈরি করা যায়, সেখানে কলাগাছের সুতায় শাড়ি তৈরি করতে লাগে প্রায় এক কেজি। কলাগাছের সুতা তৈরিতে গবেষণা করে ভালো সুতা তৈরি করতে পারলে আরো ভালোমানের শাড়ি তৈরি করা যাবে।  

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কলাবতী শাড়িটি বাজারজাত করা যাবে বলেও এসময় জানান তিনি।  

কমলগঞ্জের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামের মণিপুরি তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ১৫ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে কলাগাছের আঁশ থেকে প্রথমবারের মতো শাড়িটি তৈরি করতে সফল হন। বিষয়টি সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মণিপুরি সমাজের ঘরে ঘরে এখন আনন্দের বন্যা বইছে।

সোনালীনিউজ/আইএ