নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের চাঁকই গ্রামে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে বাড়ির সবাইকে অচেতন করে বন্ধুর বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই তরুনীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে লম্পট ফিরোজকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। এদিকে বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তরিকুলের পরিবারের সদস্যদের জ্ঞান ফিরলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি তারা।
ওই তরুণীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, যশোরের নওয়াপাড়া এলাকার এসএম শাহাদত কবির ফিরোজ (২৮) মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নড়াইলের চাঁকই গ্রামে তার বন্ধু তরিকুলদের বাড়িতে আসে। বন্ধুর বাড়িতে আসার সময় চটপটি খাবার নিয়ে আসে ফিরোজ। পরে তরিকুলের বাবা-মা, এক ভাই ও বোন সেই চটপটি খায়। টাঙ্গাইলে চাকুরিরত তরিকুল ওই রাতে বাড়িতে ছিলেন না। পরে সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে ফিরোজ বন্ধুর তরিকুলের বোনকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় বন্ধুর বোন কিছুটা চেতনা ফিরে পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশি এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় প্রতিবেশিরা ফিরোজকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করেন। তরিকুলের বোন স্থানীয় আব্দুল ওহাব মডেল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তরিকুলের বাবা, মা, ভাই ও ভূক্তভোগী ওই বোনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা আরও জানায়, প্রায় দুই বছর আগে তরিকুলের বাবা নওয়াপাড়ার একটি শিল্পকারখানায় চাকুরির সূত্রে তাদের সঙ্গে ফিরোজের পরিচয় হয়। পরে সমবয়সী তরিকুলের সঙ্গে ফিরোজের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সূত্রে ফিরোজ মাঝে-মধ্যে তরিকুলদের বাড়িতে বেড়াতে আসত। তরিকুলের বোনকে এরআগে কয়েকবার বিভিন্ন ভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয় ফিরোজ।
সদর থানার ওসি সুভাষ বিশ্বাস জানান, শাহাদতকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম