মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে দুই স্ত্রী ও প্রেমিকার মানববন্ধন 

  • সাভার প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩, ০৪:১৬ পিএম

সাভার: হঠাৎ করেই যেকোন নারীদের প্রতি আশক্ত হয়ে পড়েন তিনি এমন এক মাদ্রাসার পরিচালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাবেক দুই স্ত্রীসহ এক প্রেমিকা ও তাদের পরিবার। এসময় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।

রোববার (৪ জুন) দুপুর ১ টার দিকে সাভারের সাভার-মজিদপুর সড়কের আল-বারাকা মার্কেটের আত-তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।

অভিযুক্তের মাদ্রাসা পরিচালকের নাম ক্বারী এনামুল হাসান সাদী, তিনি চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বাইছাড়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। এছাড়া তারা সহযোগীরা হলেন- কামাল হুসাইন, ইসমাইল হুসাইন, সাখাওত হুসাইন ও মোস্তফা। তাদের ছত্রছায়ায় এধরনের অপকর্ম করেন এনামুল।

মানববন্ধনে দ্বিতীয় স্ত্রী সায়েদা বলেন, আত-তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার চেয়ারম্যান ক্বারী এনামুল হাসান সাদীর মাদ্রাসায় আমার সন্তানকে ভর্তি করতে আসি। ভর্তির পর কৌশলে আমার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করে। পরে মোবাইল ফোনে অন্তরঙ্গ মহুর্তের ছবি সংরক্ষণ করে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে। পরে জানতে পারি তার আগেও একজন বউ আছে। সে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। এঘটনায় মামলা দায়ের করলে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বলছেন।

প্রথম স্ত্রী রুবাইয়া সুলতানা বলেন, আমার সাথে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় আত-তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার চেয়ারম্যান ক্বারী এনামুল হাসান সাদীর সাথে। তিনি আত-তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার চেয়ারম্যান। সংসার ভালই চলছিল। হঠাৎ তিনি নারীদের প্রতি আশক্ত হয়ে পড়েন। তার সহযোগী কামাল হুসাইন, ইসমাইল হুসাইন, সাখাওত হুসাইন ও মোস্তফার সহযোগিতায় অন্য বাসায় নারীদের নিয়ে ফুর্তি করতে থাকেন। এব্যাপারে তার সাথে পারিবারিক কোন্দলের সৃষ্টি হয়। পরে আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে তালাক দিয়ে দেয়। আমি দুই বছরের শিশু সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমি এরকম প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

প্রেমিকা সুমাইয়া বলেন, আমি আমার ভাইকে তার মাদ্রাসায় ভর্তি করতে আসি। আমার মোবাইল নম্বর নিয়ে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেন। পরে শুনি তিনি আরও দুই বিয়ে করেছেন। তাদের ভরন পোষণও দেন না। তিনি মোবাইলে বিভন্ন মহুর্তের ছবি তুলে চাইতেন। সেই ছবি দিয়ে এখন ব্ল্যাকমেইল করছেন। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। 

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীদের পরিবারসহ প্রায় অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এফকে/এসআই