নেত্রকোনা: বিয়ের দাবিতে চাচা শ্বশুরের বাড়িতে এক সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন ভাতিজা বউ বিলকিস আক্তার (২২)। খবর পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন চাচা শশুর দিলু মিয়া (২৬)। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ভাতিজা বউ বিলকিস আক্তার। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
নেত্রকোনার মদন পৌর এলাকার বাড়িভাদেরা গ্রামে এমন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
[201304]
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অনশনরত বিলকিস আক্তারের বাড়ি মদন উপজেলার চানগাও ইউনিয়নের আলিয়ারপুর গ্রামে। ৪ বছর আগে পৌরসভার বাড়িভাদেরা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রুহুল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এদিকে বিলকিস আক্তারের স্বামী রুহুল আমিনের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিবেশী তৈয়ব আলীর ছেলে দিলু মিয়া প্রতিদিন তাদের ঘরে যাওয়া আসা করত। সম্পর্কে দিলু মিয়ার ভাতিজা বউ বিলকিস আক্তার। এক পর্যায়ে বিলকিস আক্তার ও দিলু মিয়া পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
[201301]
এক সপ্তাহ আগে গভীর রাতে বাড়ির পিছনে দিলু মিয়ার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয় বিলকিস আক্তার। স্ত্রীর অবৈধ মেলামেশা নিজ চোখে দেখে ফেলেন স্বামী রুহুল আমিন। স্ত্রীর পরকীয়া জেনে গিয়ে সংসার করবে না জানান স্বামী রুহুল আমিন। পরে বিলকিস আক্তার বিয়ের দাবিতে চাচা শশুর দিলু মিয়ার বাড়িতে অনশনে বসেন। এ ঘটনার পর থেকে দিলু মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বাড়িভাদেরা গ্রামে গেলে দেখা যায়, দিলু মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছে বিলকিস আক্তার। এ সময় তিনি বলেন, 'দিলু সম্পর্কে আমার চাচা শশুর হয়। প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। দিলুর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা আমার স্বামী নিজের চোখে দেখেছে৷ তাই আমার সংসার ভেঙে গেছে। এখন আমি বিয়ের দাবিতে দিলু মিয়ার বাড়িতে অনশন করছি৷ বিয়ে না করলে তার ঘরেই আত্মহত্যা করবো।'
[201294]
দিলু মিয়ার বড় বোন রেখা আক্তার বলেন, 'বিয়ের জন্য কয়েকদিন ধরে আমাদের ঘরে অবস্থান করছে বিলকিস আক্তার। কিন্তু আমার ভাই বাড়িতে না আসায় এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। মেয়েটিকে নিয়ে এখন আমরা বিপদে আছি।'
মদন পৌরসভার কাউন্সিলর হক্কু মিয়া জানান, 'বিয়ের দাবিতে কয়েক দিন ধরে দিলু মিয়ার বাড়িতে তারই প্রতিবেশী ভাতিজা বউ অনশন করছে৷ বিষয়টি আমি থানার ওসি সাহেবকে জানিয়েছি। মেয়েটি যে কোনো সময় আত্মহত্যা করতে পারে।'
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, 'এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনালীনিউজ/আইএ