খুলনা: আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনায় জেলা পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মাজেদুল সরদার (৩৪), মো. রফিকুল ইসলাম শেখ (৪২), মো. সাইদুল গাজী (২২), মো. মোসলেম শেখ (৬০), মো. আলমগীর মীর (২৫), মো. সিদ্দিক শেখ (৩৫) ও মরিয়ম বেগম (২০)।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
সাঈদুর রহমান জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে জেলার ডুমুরিয়া থানার আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া গ্রামে পাশাপাশি দুটি বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা প্রথমে ওই গ্রামের রায়হান সরদার (২৭) ও তার ফুফা মো. সাবাজুল মোল্লাকে (৪০) দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর দুই পরিবারের সকল সদস্যদের হাত-পা বেঁধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর মো. রায়হান সরদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে জেলার চৌকস অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত ৪টি টিম কাজ করে। তারা মামলা দায়েরের দিনই খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান পরিচালনা করে আস্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত তিনটি মাস্ক, তিনটি কাটার, একটি লোহার শাবল, দুইটি লোহার রড, তিনটি রেঞ্জ, মোবাইল ও ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির টাকাসহ ২৭ হাজার ৮০০ টাকা্ একই সাথে একটি স্বর্ণালঙ্কার, ৫টি বালা (ব্রঞ্জের উপরে সোনার প্রলেপ দেওয়া) উদ্ধার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আইএ