কাঁচা গমের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

  • নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
ছবি প্রতিনিধি

নান্দাইল: কাঁচা গমের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের মন ও শরীর। সোনালী রোদে চিকচিক করছে কাঁচা সবুজ প্রতিটি গমের শীষ। কৃষকের স্বপ্ন যেন মিশে গিয়েছে সোনালী গমের শীষে। ঝিরঝির বাতাসে গমের কাঁচা শীষ হেলেদুলে পড়ছে একে অপরের গাঁয়ে। এ দৃশ্য দেখে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে অনাবিল তৃপ্তির হাসি।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বর্তমানে গমের সবুজ কাঁচা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে নান্দাইলে ৫০ হেক্টর জমিতে কৃষক গম চাষ করেন। অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাত হিসেবে পরিচিত বারি-২৮, ৩০, ৩২ ও ৩৩ রোপণ করেছেন। এছাড়া বারি-২৫ ও ২৭ জাতের গম চাষ করা হয়েছে।

অনুকূল আবহাওয়া এবং কৃষি বিভাগের সঠিক তদারকি ও পরামর্শে গম ক্ষেতে কোনো রোগবালাই ছিল না। তাই গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সরেজমিন উপজেলার বীরকামট খালী, চরকামট খালী, চরকোমরভাঙা, হাটশিরার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গম ক্ষেতে কাঁচা সবুজ শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। নতুন গম মাড়াই করে ঘরে তুলবেন এ প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছেন প্রতিটি কৃষক পরিবার।

উপজেলার বীরবেতাগৈর, চরবেতাগৈর, খারুয়া, শেরপুর, আচারগাঁও, নান্দাইল, সিংরইল, গাঙ্গাইল, জাহাঙ্গীরপুর, মুশুলী ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নেও বিক্ষিপ্তভাবে গমের আবাদ হয়েছে। তবে চরকামট খালী, চরউত্তরবন্দ, চরকোমরভাঙা, চরভেলামারী, চরলক্ষিদিয়া, বীরকামট খালী এবং হাটশিরার চরাঞ্চলে গমের আবাদ বেশি হয়েছে।

বীরকামট খালী গ্রামের গমচাষি ইলিয়াস উদ্দিন, আঃ জলিল, আফাজ উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, বিগত সময়ের চেয়ে এবার গমের শীষ খুব ভালো এসেছে। প্রতিটি শীষ অনেক বড় হয়েছে। গম চাষি ইলিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার গম ক্ষেত অনেক ভালো হইছে। দেখলে মন ভইরা যায়।

গম চাষে বীজ, কীটনাশক ও দিনমজুরসহ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হলেও বিঘাপ্রতি ৭ থেকে ৮ মণ গম পাবেন বলে জানান চাষিরা। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ গম ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসি বলেন, গত বছরের চাইতে এ বছর হেক্টরপ্রতি ফলন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজার দরও বেশি, ফলনও ভালো হয়েছে। তাই চাষিরা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এ পর্যন্ত গমে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ হয়নি। চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি প্রায় ৩.৫ টন হারে ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ওয়াইএ