জয়পুরহাটে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আদা চাষ

  • জয়পুরহাট প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৪, ০১:০৫ পিএম

জয়পুরহাট: ভেষজ ও ঔষুধী হিসেবে আদা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই দিন দিন এর গুরুত্ব, চাহিদা ও ব্যবহারবিধি বেড়েই চলেছে। যা রান্নার কাজে মসলা হিসাবে আর ভেষজ ও ঔষুধী শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল হিসেবে ও এর ব্যবহার অপরিহার্য।

দৈনিন্দ চাহিদার তুলনায় আদার উৎপাদন অনেক কম।তাই ঘাটতি পূরণের জন্য ভারত, চীন সহ বিভিন্ন দেশ থেকে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা খরচের বিনিময়ে আমদানি করতে হয় এ আদা। 

জেলায় আদার চাহিদার ঘাটতি পুরনে আদা চাষ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে বস্তায় আদা চাষ বাড়ানোর করার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগ।

গেল ৬ এপ্রিল জেলার সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের হরিপুর ব্লকের মালয়পুর গ্রামে সরেজমিন দেখা যায় কৃষক গ্রুপের সদস্যদের মাঝে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন অত্র ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী। 

তিনি জানিয়েছেন, বস্তায় আদা চাষ বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। বিভাগীয় নির্দেশনা মেনে এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তারা। উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষক গ্রুপের মাঝে বস্তায় কিভাবে আদা চাষ করা যায় সে বিষযে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে, তিনি আরো বলেন প্রতি পরিবারে অন্ততপক্ষে চারটি বস্তায় আদা চাষ করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে প্রায় ১৫০ টি বস্তা প্রস্তুত করা হয়েছে।

আদা চাষে হাতে কলমে প্রশিক্ষণে উপস্থিত অর্ধশতাধিক কৃষাণ কৃষাণীর মাঝে রুমি আক্তার, সালেহা ও রেজাউল করিম সহ অনেকেই বলেন, কৃষি বিভাগে পরামর্শে তারা উদ্বুদ্ধ হয়ে বস্তায় আদা চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। আর এটা দেখে আরও অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন।

ভাদশা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী মন্ডল জানিয়েছেন, কৃষি বিভাগের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। বস্তায় আদা চাষ করা হলে একদিকে যেমন পরিবারের চাহিদা মিটবে তেমনি অন্যদিকে কৃষকরা লাভবান হবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সদর কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ রাফসিয়া জাহান জানিয়েছেন, বস্তায় আদা চাষ একটি লাভজনক প্রযুক্তি, তাই আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।এর ফলে ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে,তাই এটাকে আরো সম্প্রসারণের জন্য নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি।

এআর