ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুরে বৃষ্টি, বইছে দমকা হাওয়া

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম

পিরোজপুর: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৭ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয় যা আগামী সোমবার (২৭ মে) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর।

এদিকে রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে পড়তে শুরু করবে। আর মধ্যরাত থেকে পুরোপুরি প্রভাব পড়া শুরু হতে পারে।

এদিকে পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ৩৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ২ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ৭ উপজেলায় ৬০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সিপিবির ৭ হাজার ২০০ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব স্বেচ্ছাসেবক উপকূল এলাকায় মাইকিং করাসহ তাঁদের কার্যক্রম অনেকটাই শুরু করেছে। 

তবে নদীপাড়ের মানুষের মাঝে ভয় কাজ করছে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায়। জেলায় ৩৩৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত রয়েছে। তাই আতঙ্কের মধ্যে আছে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানী উপকূল এলাকার মানুষজন। 

স্থানীয় বিভিন্ন পেশার মানুষ জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকায় মানুষের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র কম। এ ছাড়া অনেক আশ্রয়কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেখানে নেই বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা। এবং সাধারণ মানুষসহ অনেকেই আতংকের মধ্যে রয়েছে।

আইএ