বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা: সাক্ষ্য গ্রহণ ১৬ অক্টোবর

  • হবিগঞ্জ প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৬, ০৮:১৩ পিএম

হবিগঞ্জের বাহুবলে আলোচিত চার শিশুহত্যা মামলার এক আসামির জামিন নামঞ্জুর কারে ১৬ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।  রোববার (৯ অক্টোবর)  হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ নতুন তারিখ ধার্য করেন। এর আগে একই আদালত মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার বাদী রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য নিজেদের পছন্দের আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা আলম আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজনকে এ হত্যা মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন।

এর আগে মামলার বাদী আব্দাল মিয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন, রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োজিত বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আবুল কাসেম মোল্লা মাসুমের একার পক্ষে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি পরিচালনা করা সম্ভব নয়। বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি একা মামলা পরিচালনা করলে বাদী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাশেম মোল্লা মাসুমের পরিবর্তে জেলা বারের অন্যতম সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরীকে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়।  ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলা পরিচালনা করবেন।

রোববার (৯ অক্টোবর) এ মামলার নির্ধারিত তারিখ থাকায় আসামি আবদুল আলী, তাঁর দুই চেলে জুয়েল, রুবেল, আত্মীয় হাবিবুর রহমান ওরফে আরজু, ছায়েদ ওরফে সাহেদকে জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার প্রধান আসামি আবদুল আলী জামিন আবেদন করেন। আদালত তা শুনানি শেষে নামঞ্জুর করেন। পাশাপাশি ১৬ অক্টোবর মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

কোর্ট হাজতে আনার পর আসামি আরজু ও সাহেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত আরজুকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু—জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাতো ভাই তাজেল মিয়া (১০), মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেন (১০)। ঘটনার পাঁচ দিন পর সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ভেতরে একটি বালুছড়ায় এ শিশুদের মরদেহ পাওয়া যায়। ৪ এপ্রিল পুলিশ এ হত্যা মামলায় নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। তাঁদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামের একজন আসামি র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। বর্তমানে গ্রেপ্তার রয়েছেন পাঁচ আসামি। পলাতক রয়েছেন তিনজন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম